49 বার পঠিত
রাজাপুর(ঝালকাঠি)প্রতিনিধি > ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ও তার ছেলের হাত থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহাবুব মোর্শেদ সোহেল। রবিবার দুপুর ৩ ঘটিকার সময় রাজাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মাহাবুব মোর্শেদ সোহেল রাজাপুর সদরের মো: হেমায়েত উদ্দিন খানের ছেলে। অপরদিকে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ ঘটিকায় মাহাবুব মোর্শেদ সোহেলের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জাহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহাবুব মোর্শেদ সোহেল জানান, রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে রাতের আধারে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের বিদ্যালয়ে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়। ২০১৫ সাল থেকে এখন পযন্তক ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার বানিজ্য করেছে। তাছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের ও সরকারি কোষাগারের অনেক টাকা আত্মসাৎ করছেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে জাহিদুল ইসলামের সাথে আমার মনক্ষুন্ন হয়। পরবর্তীতে ২৪ আগস্ট রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিম উদ্দিন আকনের মধ্যস্থতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে বসে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এরপরেও প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী ও তার ছেলে আদিব, ভাইয়ের ছেলে অভি, ছোট ভাই ইন্দ্রপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক মিরন সকাল সাড়ে ১০ টায় দলবল নিয়ে আমার বাসার সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আমাকে, আমার বাবা, ভাই ও ছেলে মেয়েকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে মিছিল দেয়। এ সময় আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের ছেলে আবিদ ও ভাইয়ের ছেলে আমি সহ আমার পরিবারকে গুম, খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে আমি জাহিদুল ইসলাম ও তার ছেলের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ ঘটনায় শিক্ষক মাহাবুব মোর্শেদ সোহেল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
অপরদিকে জাহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন , আমি আজকে দুপুরে ফেসবুক লাইভে দেখতে পেলাম মাহাবুব মোর্শেদ সোহেল আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মূলত সরকার পতনের পরেই সোহেলের আচারনের পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। তিনি আমি সহ আমার সহকর্মীদের সাথে বিরুপ আচারন ও হুমকি দিয়ে আসছে। সোহেল আমার ছেলে, ছোটো ভাই ও ভাইয়ের ছেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।