195 বার পঠিত
রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি তাগিদ’– দীর্ঘ ৩০ দিন রোজা রাখার পর বাংলাদেশে আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) উদযাপিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।৩০ রমজান পূর্ণ করে বুধবার সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গান রেডিও, টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু হয়। শুরু হয় চাঁদ রাতেই ঈদের খুশি ও আনন্দ। পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।এবার ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হয়। সভার পর ধর্মমন্ত্রী জানান, দেশের কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। তিনি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (১০ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আসুন, আমরা আত্মীয়-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদুল ফিতর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ ও শান্তি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন। ঈদ মুবারক।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ঈদের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এদিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন।’ঈদের প্রধান জামাত
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এবার রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে, বৈরী আবহাওয়া থাকলে ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের পাঁচটি জামাত হবে। ঈদের দিন সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে জামাত শুরু হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনে ঈদের জামাত
ঈদের দিন জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত শুরু হবে। এ জামাতে সংসদের চিফ হুইপ, হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া এ জামাত উন্মুক্ত হওয়ায় সবাই অংশ নিতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ঈদ জামাত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হবে। এ জামাতে ইমামতি করবেন বংশাল বড় জামে মসজিদের খতিব শাইখ মুহাম্মদ মোস্তফা সালাফি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে শুরু হবে। তবে, মাঠে কোনো কারণে জামাত আয়োজন করা সম্ভব না হলে বুয়েটের নির্ধারিত তিনটি মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজন করা হবে।গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের ঈদ জামাত
রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে ঈদের নামাজের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন ভোর ৬টায়, সকাল সাড়ে ৭টায় ও সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রাজধানীর ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৯টায়, ধানমণ্ডি ঈদগাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, মিরপুর দারুস সালাম এলাকার মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ও সকাল ৯টায়, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের হারুন মোল্লাহ্ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায়, মতিঝিলের আরামবাগের দেওয়ানবাগ শরিফে সকাল ৮টা ও সাড়ে ৯টায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মারকাজুল ফিকহিল ইসলামী মসজিদে সকাল ৭টায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে উম্মে কুলসুম জামে মসজিদ (সি ব্লক) সকাল সোয়া ৭টায়, সকাল সাড়ে ৭টায় এফ ব্লক জামে মসজিদে, সকাল ৮টায় বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ (জি ব্লক), সকাল সাড়ে ৮টায় ফকিহুল মিল্লাত জামে মসজিদে (এন ব্লক) ঈদের জামাত শুরু হবে।