173 বার পঠিত
যে কোন কাজের চাপ বা অলসতার ফাকে অথবা দিনের যে কোন সময় একটু চায়ের কাপে ঠোঁট বুলাতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন।
কেউ তো আবার দিনের শুরুতেই এক কাপ চা না হলে যেন চাঙ্গা হয়েই উঠতে পারেন না। এক এক জনের আবার এক এক ধরণের চায়ের তৃষ্ণা।
কারো পছন্দ অতি উপাদেয় স্বাদের দুধ চা আবার কারো লাল চা। লাল চা পায়ীদের জন্য রয়েছে সুখবর! কারণ, দুধ চা ক্ষণিকের জন্য শরীর মন চনমনে করে তুললেও এর কোনো উপকারিতা নেই। কিন্তু লাল চা-এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই পানীয়টি নানাভাবে শরীরের গঠনে কাজে লাগে, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
লাল চায়ের কিছু উপাদান শরীরের ক্লান্তি দূর করার পাশপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। লাল চায়ে থিয়োফিলাইন নামে একটি উপাদান থাকে। এটি শরীরকে সার্বিকবাবে চাঙ্গা করতে দারুন কাজে দেয়। এছাড়া এই পানীয়ের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন,
১- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সারের মত মারণব্যধি থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে এই লাল চা। কেননা এই পানীয়তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ সহ এমন কিছু উপাদান, যা লাংস, প্রস্টেট, কলোরেকটাল, ব্লাডার, ওরাল এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, লাল চা শরীরের যে কোনও অংশে ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
এই পানীয়তে থাকা টেনিস নামক একটি উপাদান নানা ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নানারকম রোগব্যধি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
৩- মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
লাল চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ কম থাকায় এই পানীয়টি মস্তিষ্কে রক্তচলাচলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস কমে।একটি গবেষণায় দেখা গেছে এক মাস টানা যদি লাল চা খাওয়া যায়, তাহলে পারকিনস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
৪- ওজন হ্রাস করে
লাল চা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই পানীয়।
৫- হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠে
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে লাল চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই পানীয়তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬- হাড়কে শক্তপোক্ত করে
লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭- হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
প্রতিদিন লাল চা খেলে হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে। আসলে এতে রয়েছে টেনিস নামে একটি উপাদান, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি গ্যাস্ট্রিক এবং নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ সারাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮- স্ট্রেস কমায়
লাল চায়ে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মনকে চনমনে করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
সুস্থ থাকার জন্যে প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থসম্মত খাবার এবং জীবনযাপনের কোন বিকল্প নেই। তাই চায়ের অভ্যাসটাও গড়ে তুলুন স্বাস্থসম্মতভাবে। দুধ চায়ের বদলে পান করুন উপকারি লাল চা। রোগবালাইকে দুরে রেখে উপভোগ করুন সুস্থ, সুন্দর জীবন।