313 বার পঠিত
|
|
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এম এ নাহার এর সাথে সুসম্পর্ক থাকার ফলে এইসব অপকর্ম করছে শামীমা। এমন অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচি নীতিমালা প্রণয়ন করে। এতে মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীদের শর্ত ও যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নারী প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভধারণের সময় যে কোনো একবার ভাতার আওতায় আসবেন। বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার বেশি হবে। মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার নিচে হতে হবে। দরিদ্র বা প্রতিবন্ধী নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কেবলমাত্র বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বসবাস করেন এবং নিজের বা পরিবারের কৃষি জমি কিংবা মৎসজমি নেই এমন নারী এ ভাতা পেতে পারেন। উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অবশ্যই ওই নারীকে গর্ভবতী থাকতে হবে। মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসেবে নারী তিন বছর প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে মাসিক ভাতা পাবেন।
পাংশা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই তালিকায় কুড়াপাড়ার সুলতানা বেগম (৩৩) এর নাম রয়েছে। বর্তমানে তার স্বামী নেই।প্রায় ১৪ বছর বয়সী তার একটি মেয়ে রয়েছে। একই এলাকার লবন সরদারের স্ত্রী হাচিনার (২৬) নামও রয়েছে এই তালিকায়। তবে তাকে দেখে মনে হয় না সে অন্তঃসত্ত্বা। ৪ বছরের একটা বাচ্চা রয়েছে হাচিনার।
একই অবস্থা পাংশা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে, তালিকায় থাকা ৬৮ নাম্বারে নাম রয়েছে বিষ্ণুপুর এলাকার মোঃ আব্দুল মজিদ প্রামাণিকের স্ত্রী নাহার পারভীনের (৩৪)। তিনি সর্বশেষ ৭ বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তারও প্রায় ৫ বছরের বাচ্চা রয়েছে। একই এলাকার ঠাঁই পাওয়া রাজিয়া সুলতানা (৩৪) স্বামী সরকারি চাকরিজীবি। বর্তমানে তিনি র্যাবে আছেন। রিনা খাতুন (৩৩), সর্বশেষ ১১ বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। তিনিও রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ভাতা তালিকায়।
এদিকে, হালিমা খাতুন (২১) ও শাপলা খাতুন (২৯) এখনো অবিবাহিত। তবুও তাদেরও নাম উঠেছে এই তালিকায়।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাতৃকালীন ছুটিতে থাকায় কথা হয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের অফিস সহকারী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সাথে তিনি বলেন, আমাদের যে তালিকা হয়েছে সেখানে কিছু সমস্যা আছে। আমরা তদন্ত করছি। শামীম আক্তার নিবন্ধন প্রাপ্ত মহিলা সমিতির সভানেত্রী তবে তার কোন সুপারেশ রাখা হয় না, গত দুই বছর আগের থেকেই।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, এমন অভিযোগ আমিও পেয়েছি। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ডিডির সাথে কথা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে যারা পাওয়ার উপযোগী তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।