1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
মতলব উত্তরে একটা ঘরের জন্য একটি পরিবারের আকুতি - দৈনিক দেশেরকথা
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ব্যারিস্টার সুমনকে শোকজ রমজান মাস উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্য-পুষ্টি এবং ওয়াস বিষয়ক ২দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইবিতে প্রভোস্ট কোয়াটারে নিরাপত্তা সংকটে শিক্ষকেরা, চুরির ঘটনা অনাকাঙ্খিত  কুয়াকাটায় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল এবার রাজধানীর মানিকনগরে ৩ বাসে আগুন নির্বাচনে বিদেশিদের চাপ প্রয়োগের অধিকার নেই: ইসি নবীনগরের ঐতিহ্য সংরক্ষণে জোবাইদ মোমেনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম নবীনগরের অ্যালবাম দিঘীনালার লম্বাছড়ায় জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ইবিতে কাম ফর রোড চাইল্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মতলব উত্তরে একটা ঘরের জন্য একটি পরিবারের আকুতি

শহিদুল ইসলাম খোকন
  • প্রকাশ রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 61 বার পঠিত

কিছু বার্মিজ আর কাঠ দিয়ে জোড়াতালি দেয়া ঘরের বেড়া, চালার ছাউনি।  নেই কোন টিন। জীর্ণ এ ঘরে স্বামী-স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে বসবাস শরীফ হোসেন মিয়াজির। শীতকালে ঘন কুয়াশায় শিশিরবিন্দু ফাক দিয়ে ঘরে ডুকে ঘরকে বরফের মতো আচ্ছাদিত করে রাখে সারা রাত। হিমেল হাওয়ায় গা ঠাণ্ডায় জমে বরফ হয়ে যায়। এই নিদারুণ কষ্টের মাঝেও নির্ঘুম বা কখনো ঘুমিয়ে কাটে তাদের রাত। কখন সকাল হবে একটু রোদ অথবা লাকড়ি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা বরফে জমা শরীরটাকে একটু হালকা গরমের উষ্ণতা দিবে। সেই প্রতীক্ষায় কেটে যায় শীতের রাত।

আর গ্রীষ্মকালের সমস্যাও কম নয়। বৃষ্টি হলে বিভিন্ন ছিদ্র দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। তুফান এলে ঘর নরবর করে। আতংক বিরাজ করে সবসময়। কখন জানি বাতাসে ঘর উড়ে যায়, আবার গাছপালা না জানি উপরে পরে। তাই ভয়ে অন্যর ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়।

তাদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণচক গ্রামে। শরীফের ৪ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া নেই কোনো সম্বল। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতো। ভাড়ার টাকা দিতে না পারায় সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছে। কিছু লোকের সহযোগিতায় কয়েকটি বার্মিজ আর কাঠ দিয়ে  একচালা একটি ঘরে বসবাস করে শরীফ মিয়াজি আর স্ত্রী সন্তান। শরীফ শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় কষ্টের কাজ করতে পাড়ে না। যা আয় করে তা দিয়ে ঠিকমত দুমুঠো খাবারও খেতেও পাড়ে না। স্ত্রী অসুস্থ। টাকার জন্য চিকিৎসাও করতে পাড়ছে না। এ নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। 

শরীফ অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, জীবনের ১০টা বছর এমন ভাঙা ঘরে কাটাইছি। এমন ঘরে  থাকতে খুবই কষ্ট হয়।  একটা ঘর হলে একটু শান্তি নিয়ে মরতে পারবো।  স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান মিয়াজি বলেন, এ পরিবারটি ঘরের জন্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একটি ঘর হলে ওদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park