28 বার পঠিত
নতুন পাঠ্যবইয়ে ইসলাম ধর্মবিরোধী কিছু নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক অপপ্রচার চলছে। তিন বছর আগের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি বইয়ের ছবি দিয়ে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যে বইটি এখন সেখানেও চলে না।
তিনি বলেন, একটা অপশক্তি আছে যারা এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের আপনারা সবাই চেনেন। তারা মিথ্যাচার করে শুধু আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চায় না, দেশের স্থিতিশীল পরিবেশও নষ্ট করতে চায়।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানাধীন আরেফিন নগরে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের স্থায়ী ক্যাম্পাসে দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব বলেন।
দীপু মনি বলেন, যারা বইয়ে ভুল শনাক্ত করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। নবম-দশম শ্রেণির বইয়ে কিছু ভুল শনাক্ত হয়েছে। এ বছর শিক্ষার্থীরা বইগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছে বলেই ভুলগুলো ধরা পড়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের এই মনোযোগ পাঠ্যবইগুলোর মান উন্নত করতে এবং আরো নির্ভুল করতে সহযোগিতা ও অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, করোনার সময়টা বিশ্ববাসীর জন্য কষ্টকর ছিল। করোনাকালীন সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা অনলাইন ক্লাসের কার্যক্রম সফলভাবে করতে পেরেছি। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুব খুশি।
চলতি মাসেই শিক্ষাথীদের সব বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কাগজ শিল্প বিরাট একটা সংকটের সম্মুখীন। কাগজের একটা বড় সংকট ছিল। ডলার পরিস্থিতির কারণে আমরা আমদানির দিকেও যেতে পারিনি। এরপরও সব শিল্পের সহযোগিতায় ১ জানুয়ারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮০ শতাংশ বই পৌঁছে দিতে পেরেছি। বাকি বইগুলো এ মাসের মধ্যেই আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেব।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ব্রিটিশ ফার্স্ট লেডি চেরি ব্লেয়ার, সমাবর্তন বক্তা ছিলেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস জন সেক্সটন। সমাবর্তনে ছয়জনকে এনডি মাতসুই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে তিন বছর পর হলেও সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। চারদিকে ছিল উৎসবের আমেজ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৮ দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে বিগত তিন বছর সমাবর্তন হয়নি। এবার ২০২০, ২০২১, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ৩০০ স্নাতককে সনদ প্রদান করা হয়।