1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপারের দেখা মিলেছে সুবর্ণচরে - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি,হাছান ও নওফেলসহ মোট আসামি ৫২ জন হাইকোর্টে আবরার ফাহাদ হত্যার রায় কাল শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান ২ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আবাস কক্সবাজার কেবল পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতিরও কেন্দ্র :প্রধান উপদেষ্টা হঠাৎ বেড়েছে বাজারে বেগুনের দাম রায়পুরে সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: অ্যান্তোনিও গুতেরেস দীর্ঘ এক যুগ পর ৭ এপ্রিল আংশিক ভাবে চালু হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফকির লালন সাঁইজির কুষ্টিয়া ছেঁউরিয়ার আখড়া বাড়িতে ছোট পরিসরে পালিত হলো দোল উৎসব

ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপারের দেখা মিলেছে সুবর্ণচরে

সাব্বির ইবনে ছিদ্দিক
  • প্রকাশ শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

 251 বার পঠিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি>সুবর্ণচর উপজেলায় ভূমিহীন বাজারের পাশে ধানখেতে ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলেছে। তবে স্থানীয়রা প্রথমে অজগর সাপ মনে করলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সাপ রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন।

সাপটিকে চট্টগ্রাম ভেনম রিসার্চ সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলায় নদীপাড় এলাকায় গ্রামগুলোতে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সুবর্ণচর উপজেলায় ভূমিহীন বাজারের পাশে ধানখেতে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মেলে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী ইউনিটের সদস্যরা ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করেন। ধারণা করা হয়, পানির সঙ্গে মেঘনা নদী দিয়ে থেকে সুবর্ণচর উপজেলার নদীর তীরবর্তী এলাকায় এ সাপ নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, মারাত্মক বিষধর প্রজাতির এ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে। অন্যান্য সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে রাসেল ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে।

একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো রাসেল ভাইপার সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড আছে। এরা প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে।

পৃথিবীতে প্রতি বছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই রাসেল ভাইপারের কামড়ে মারা যায়। অন্যান্য সাপ মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও এ সাপটির স্বভাব ঠিক তার উল্টো। আক্রমণের ক্ষিপ্রগতি ও বিষের তীব্রতার কারণে ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে বদনাম রয়েছে সাপটির। এদের বিষদাঁত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃহৎ। এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে।

রাসেল ভাইপারের বিষ হোমটক্সিন, যার কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়। কামড়ের ক্ষিপ্রগতির দিক দিয়ে সব সাপকে হারিয়ে রাসেল ভাইপার প্রথম স্থান দখল করেছে।

দুর্লভ প্রজাতির একটি সাপ। আগে শুধু বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে এ সাপ পাওয়া গেলেও বর্তমানে এরা পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা ও চরগুলোতেও আছে

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park