9 বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে ২৩ ডিসেম্বর থেকে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সারা বছর ড্রেজিংয়ের কথা বলা হলেও বিআইডব্লিউটি এর দায়সারা দায়িত্ব পালনের কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে একদিকে নাব্যতা সংকট যেমন কাটছে না, অন্যদিকে ড্রেজিংয়ের নামে সরকারকে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা সংকট নিরসনে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর বিআইডব্লিউটিসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান নদ খননের তাগিদ দিলেও কর্ণপাত করেনি বিআইডব্লিউটিএ বিভাগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন নদী ড্রেজিংয়ে গাফিলতি এবং নৌকার মালিকদের সঙ্গে সিন্ডিকেটের কারণে এ অঞ্চলে নিয়মিত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষের দূর্ভােগ চরমে পৌঁছেচে। পরিবহন চালকদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে রৌমারীর ফলুয়ার চর ঘাটের দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। এ দুর্গম নদী পথ পাড়ি দিতে কখনও চর হেঁটে বা কখনও নৌপথে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসানের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের শেষের দিকে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করা হয়।
তবে এর সুফল ভোগ করতে না করতে নাব্যতা সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বছরের অধিকাংশ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু নৌকার মালিক বাড়তি ভাড়াসহ নানা ভোগান্তির মধ্যে ফেলে নৌকায় করে নদীর দুপারের মানুষকে পারাপার করছে।
জানা গেছে, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর থেকে নদীতে নাব্যতার সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে বিআইডব্লিটিএ। কিন্তু দেড় মাসেও বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং করে নাব্যতা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে না পারায় সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে।
এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিআইডব্লিউটিসি প্রতি মাসে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকা গচ্ছা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ফেরি বন্ধ থাকায় ফেরির ইঞ্চিন ক্ষতির মুখে পড়ছে।
এ অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী জনগন, জন দুর্ভোগ লাঘবে সব সমস্যা সমাধান করে দ্রুত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান।