67 বার পঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের ছোট বোন সুমি খাতুনকে চাকরি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী নিয়োগপত্রটি আবু সাঈদের বোনের হাতে তুলে দেন।
চাকরিতে যোগ দিয়ে আবেগাপ্লুত সুমি খাতুন বলেন, আমার ভাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বড় চাকরির স্বপ্ন দেখেছিল তার ক্যাম্পাসেই আমার চাকরি হলো। এটা আমাদের পুরো পরিবারকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। চাকরিপ্রাপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সুমি খাতুনকে ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট (স্থায়ী) পদের বিপরীতে সেমিনার অ্যাটেন্ডেন্ট পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলো।
নিয়োগের শর্তগুলো হলো—এই পদে যোগদানের তারিখ থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী টাকা ৮৫০০-২০৫৭০/- স্কেলে বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে গৃহীত ছাড়পত্র যোগদানের সঙ্গে অবশ্যই জমা দিতে হবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে ২ (দুই) মাসের অগ্রিম নোটিশ প্রদান করতে হবে অথবা ১ (এক) মাসের বেতন সম্পূর্ণ করতে হবে। চাকরি গ্রহীতাকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের আওতায় প্রণীত ও প্রণীতব্য সকল সংবিধি, প্রবিধান, রেগুলেশন ও বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে। বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোষ্ঠী বিমায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
উপরে উল্লিখিত শর্ত মোতাবেক আপনি এ নিয়োগ গ্রহণ করতে সম্মত থাকলে আগামী ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদপত্রসহ অন্যান্য সনদপত্রের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার নামাঙ্কিত সিল দ্বারা সত্যায়িত অনুলিপি, অভিজ্ঞতার সনদপত্র, শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং যোগদান পত্র নিম্নস্বাক্ষরকারীর দফতরে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে বেরোবির সামনে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় বেরোবির শিক্ষার্থী ও অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ এর প্রতিবাদ করলে তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবু সাঈদের, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে।