ঝালকাঠি সংবাদদাতা>ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট এলাকায় যুবক সিরাজুল ইসলাম দেড় বছর ধরে ছয়টি ঘোড়া পুষছে। এর মধ্যে একটি ঘোড়া মাঠে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের একটি শিশু পার্কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সিরাজুলের দুটি দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি চালান এবং দুটি দিয়ে গ্রাম্য ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতা করে থাকেন। কিছু দিন পুর্বে কেনা অপর দুটি ঘোড়া আস্তাবলে বাধা থাকে।
সিরাজুলের ঘোড়ার গাড়ি ঝালকাঠিতে বেশ জনপ্রিয়। বিবাহ, শো-ডাউন, ঘুরতে যাওয়াসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দিয়ে পয়সা রোজগার করেন সিরাজুল।
ঐ গাড়ি যে দুটি ঘোড়া দিয়ে টানা হয়, তার একটি ঘোড়া বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নজরুল। এমনই অভিযোগ করেছেন ঘোড়ার মালিক সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজ বলেন, ‘ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে ঘোড়াগুলো রাখতাম। তার পাশেই নজরুল নামের এক ব্যাক্তির সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শুক্রবার রাতে আমার সাথে তর্ক হয়।
তখন ঐ নজরুল আমাকে ধমক দিয়ে বলেছে আমাকে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবসা করতে দিবেনা, কি করে ঘোড়া পালি সেটা সে দেখিয়ে দিবে।
সিরাজুল আরো বলেন, ঘটনার পরদিন শনিবার সকালে ঘোড়া দুটো শিশুপার্কের মাঠে বেঁধে রেখে বাসায় যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোড়া আনতে গিয়ে ঘোড়া মৃত অবস্থায় মাঠে পরে থাকতে দেখে।
তখন ঘোড়াটির শরীরে পেটানো ও পায়ের রগ কাটার চিহ্ন দেখতে পায়। শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পশু চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হতে পারেনি। সিরাজুলের দাবি, তার ঘোড়াকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যা করেছে তর্কে জড়ানো প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে প্রানী হত্যার বিচারের দাবিতে মৃত ঘোড়াটিকে ভ্যান গাড়িতে তুলে সদর থানায় নিয়ে যায়।
তিনি পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করে বলেন, নজরুল ইসলাম তাঁর ঘোড়াটিকে হত্যা করেছেন। সদর থানা পুলিশের পরামর্শে সন্ধ্যা ৬টায় মৃত ঘোড়াটি পৌর কসাইখানা সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর পাড়ে মাটি চাপা দেয়।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে সিরাজুলের ঘোড়া রাখার ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ঐ ঘরটির পাশেই অভিযুক্ত নজরুলের একটি গোয়ালঘর রয়েছে। প্রায়ই গরুর দড়ি না পেয়ে সিরাজুলকে দোষারোপ করতেন নজরুল।
ঘোড়া হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, ঘোড়ার মৃত্যু সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে মিথ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, সিরাজুলকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি, অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে ঘোড়ার পোষ্টমর্টেম করতে হবে।