কুয়াকাটা প্রতিনিধি>বর্তমানে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাস, ইংরেজি, মে মাস। স্বাভাবিক তুলনায় এখন বর্ষাকাল, এবং এই মাস থেকেই কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত উত্তাল হয়ে ওঠে। কারণ বৃষ্টির সাথে থাকে প্রচণ্ড বাতাসের চাপ, এর কারণে উত্তাল রূপ দেখায় সমুদ্র কন্যা।
কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে সমুদ্র, বড় বড় ঢেউ ভেঙে পড়ছে সমুদ্রতীরে, এই দৃশ্য দেখতে শুক্রবার (২০মে) হাজারো পর্যটকের উপস্থিতি দেখা যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় ঢেউয়ের সাথে আনন্দে মেতে উঠেছে পর্যটক, কেউবা ভালোবাসার মানুষটাকে টিউবে বসিয়ে সমুদ্রের নোনা জলে ভাসছেন,আর দুজনে একসাথে প্রেমের গল্পে মেতে উঠছে। সমুদ্রের বালু নিয়ে খেলা করছেন ছোট্ট বাবুটা।সৈকতের বালুচরে দাঁড়িয়ে ভিজতে ভিজতে দূরের পানে তাকালে মনে হয় আকাশ আর সমুদ্র যেন একাকার হয়ে গেছে। আর কিনারার দিকে বড় হয়ে আসছে ঢেউ। কুয়াকাটার এমন রুপে মুগ্ধ হয়েছে ভ্রমণে আসা পর্যটক।
খুলনা থেকে আশা সালমা বেগম বলেন, আমি গত ডিসেম্বর মাসে মেবি তখন শীতকাল ছিল তখন এসে সমুদ্রে গোসল করে যে মজা পাইনি, সেই মজা এখন বর্ষাকালে পেয়েছি। কারণ বড় বড় ঢেউ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আসলেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের রূপ দেখতে হলে বর্ষাকালে আসতে হয়।
বরিশাল থেকে আসা রহমান হাওলাদার জানান, মোগো বরিশালে সবথেকে প্রিয় একটি স্থান কুয়াকাটা। মুই সময় পাইলে কুয়াকাটায় চইল্লা আই, তবে বর্ষাকালে মোগো সাগরের বড় বড় তু বান দেখতে আই। আসল কথা হইল মোগো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের রূপ শীতকালে একরকম, বর্ষাকালে আর একরকম।
কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাবের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা লক্ষ্য করেছি পর্যটকরা সাগরের ঢেউয়ের প্রশংসা করছে, এবং বলছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত আসলেই সুন্দর। আমরা পর্যটকদের মুখে কুয়াকাটার প্রশংসার কথা শুনে আনন্দিত হয়েছি।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুশার বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একেকটি সময় রূপ পরিবর্তন করে। যেমন শীতকালীন সময় শান্ত থাকে সমুদ্র সৈকত, তখন কার দর্শনীয় স্থানগুলোর রূপে মুগ্ধ হয় পর্যটক। আর এখন বর্ষাকাল টানা পাঁচ মাস, এমন উত্তাল থাকবে সমুদ্র সমুদ্রের। ঢেউ দেখতে হলে বর্ষাকালে আসতে হবে কুয়াকাটা, তাই সবাইকে সমুদ্রের রূপ দেখতে এখন কুয়াকায় আসার আমন্ত্রণ জানাই।