42 বার পঠিত
দেশের সব পোশাক কারখানায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জানিয়ে সদস্যদের চিঠিও দিয়েছে সংগঠনটি।
চিঠি অনুযায়ী, প্রতিটি কারাখানায় গেটে ‘নিয়োগ বন্ধ’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দিতে হবে।
এছাড়া, ‘যেসব কারখানায় অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারি সংঘটিত হয়েছে, সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিয়ে নিকটস্থ থানায় মামলা করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা যাবে।’
মামলার পর এর একটি কপি অবশ্যই সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠাতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
আরও বলা হয়, যেসব শ্রমিকরা কারখানায় গিয়েও কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন বা কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন, সেসব কারখানার মালিকরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ করে দেবেন। এর অর্থ কাজ নেই, বেতনও নেই।
এ ছাড়া যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারি সংঘটিত হয়েছে, সেসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিজিএমইএর সিস্টেম অ্যানালিস্টকে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সংগঠনটির আরেক সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) প্রমুখ।