97 বার পঠিত
স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে নতুন রেল চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় এক সুধী সমাবেশে নতুন রুটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধনের জন্য মাওয়ার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া পৌঁছান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
সরকারি বিবরণ অনুযায়ী, মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ ট্রেনে পদ্মা সেতু পার হবেন।
টিকিট কেটে বেলা মাওয়া থেকে ট্রেনে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন ৩৮৬ অতিথি। দুপুর ১টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেলে ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
দীর্ঘ ছয় বছর পর ভাঙ্গায় যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাকে বরণে জনসভাস্থলে সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করেছেন। প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে জনসভাস্থল ডা.কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আসছেন নেতাকর্মীরা।
উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পুরো রেলপথটি চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রেল যোগাযোগ সহজ হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ করছে। এর ৮২ কিলোমিটার অংশ ঢাকা ও ভাঙ্গাকে সংযুক্ত করে আজ খুলে দেওয়া হবে এবং এর যশোর সংযোগকারী অবশিষ্ট অংশটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার পর রেল যোগাযোগ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানী শহরের প্রবেশ পথ আরও বর্ধিত হবে- যা মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং নড়াইল জেলার নতুন এলাকাকে যুক্ত করবে এবং ঢাকা-যশোর-খুলনাকে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট দিয়ে বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপন করবে।
নতুন এ প্রকল্পটির উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে রেলের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। যার ফলে পণ্য আনা-নেওয়া সহজ হওয়ায় প্রসার হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার। যা অবদান রাখবে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।