142 বার পঠিত
স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেও পড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে এক থাকতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। এসময় তিনি বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ৫টি প্রস্তাব দেন।
শুক্রবার দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৩ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের করুণ, অমানবিক অস্তিত্বে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সংঘাতের অবসান দাবি করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, আস্থার ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব রয়েছে। যা ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার দিকে পরিচালিত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ব অসহনীয় দারিদ্র্য, অবাঞ্ছিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর হুমকিতে জর্জরিত। গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং ক্রমবর্ধমান কষ্টসহ এখন নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা উপস্থিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন যে, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত, যদিও এটি প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গ্লোবাল সাউথের সাথে খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং বিশ্বের উন্নতির জন্য কিছু সুপারিশ করেছেন।
এর আগে, ভারতের আয়োজনে ভার্চুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর মোদি বৈশ্বিক সমৃদ্ধি অর্জনে একসাথে কাজ করতে বিশ্বকে আহ্বান জানান। এ সময় শঙ্কা জানান পশ্চিম এশিয়ায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও। গাজায় বেসামরিকদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানান মোদি।
এ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এতে ১০টি সেশন হবে। উদ্বোধনী ও সমাপনী সেশন হবে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান স্তরে এবং সভাপতিত্ব করবেন নরেন্দ্র মোদি।
উদ্বোধনী অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হলো একসাথে, সবার জন্য প্রবৃদ্ধি, সবার আস্থার সাথে এবং সমাপনী অধিবেশন হবে ‘গ্লোবাল সাউথ: টুগেদার ফর ওয়ান ফিউচার’। এছাড়া ৮টি বিভিন্ন থিমসহ মন্ত্রী পর্যায়ের সেশন থাকবে।
ভারত এর আগে ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট আয়োজন করেছিল ২০২৩ সালের ১২ ও ১৩ জানুয়ারি। ওই উদ্যোগে গ্লোবাল সাউথের ১২৫টি দেশ এক সঙ্গে তাদের মতামত তুলে ধরেছিল।