1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
ত্রিশালে বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের লাইন,জীবন ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ - দৈনিক দেশেরকথা
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম পটুয়াখালী-৩ ( গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকেই নির্বাচন করবেন- গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি সাবেক  ভিপি নূর বেরোবির বঙ্গবন্ধু হলে অবৈধ শিক্ষার্থী অপসারণে প্রভোস্ট বডির অভিযান ; ১১৫ আসন ফাঁকা  সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের কারাদণ্ড অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা চার স্তরের নিরাপত্তায় ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ি মেলা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী জামায়াত নেতৃবৃন্দের যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  কিশোরগঞ্জে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান বেরোবিতে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, ৭২ ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা  ভরনণপোষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিবন্ধীর জমি আত্মসাত  এনআইবি ডিজি নিয়োগে জটিলতার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

ত্রিশালে বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের লাইন,
জীবন ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ

ইমরান হাসান
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 142 বার পঠিত

ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি> ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ড শুকতারা বিদ্যানিকেতন সড়কে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে চলছে বিদ্যুতের মেইন লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে ।এতে জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ।
গত এক বছর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ত্রিশাল বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের
সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম ফারুক হোসেন লোক পাঠিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা
বললেও এক বছরেও হয়নি কোনো সমাধান। ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষার্থীদের যেতে হচ্ছে স্কুলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সড়কের শুকতারা বিদ্যানিকেতন স্কুলের একমাত্র সড়ক। এ
সড়ক দিয়ে শতশত ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। বাঁশের খুঁটির মধ্যে ঝুলছে বিদ্যুতের মেইন লাইন।


নিচুতে ঝুলছে তার হাত দিয়ে ধরা যায়। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এর আগেও
তার ছিরে পরেছে কয়েকবার। দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুতের ঝুকিপূর্ন তার সরানোর দাবি জানিয়ে আসছেন
স্থানীয়রা, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনার
আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ত্রিশাল পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ড শুকতারা বিদ্যানিকেতন এলাকায় সড়কের
উপর বাশের খুটিতে মেইন লাইন ও অনেক বাসা বাড়িতেই এমন ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে
পিডিবি। বৈদ্যুতিক খুঁটি না বসিয়ে বাঁশ দিয়ে বিদ্যুতের তার টানিয়ে নেওয়া হয়েছে মেইন লাইন। তারের
ভারে বাঁশগুলো হেলে পড়েছে। কোথাও বা হেলে থাকা বাঁশ আরও একটা বাঁশ দিয়ে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে।
তারের ভারে ঘরের চালের উপর ঝুলছে বিদ্যুতের মেইন তার। ঝুকিতে দিন কাটছে ঘরে থাকা লোকজনের। তারে লতাপাতা জড়িয়ে বৈদ্যুতিক তারগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলেছে।

দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের খুঁটির জন্য চেষ্টা করছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু খুঁটিতে তার না ঝুলিয়ে কর্তৃপক্ষ বাঁশ বসিয়ে ঠিকা দিয়ে রেখেছে। ঝুকিতে রয়েছে স্থানীয় শুকতারা বিদ্যানিকেতন স্কুলের
শিক্ষার্থীরাসহ এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ কয়েকবার লিখিত আবেদন করা হলেও বিদ্যুৎ
অফিস নেয়নি কোন ব্যবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, কয়েক বছর ধরেই আমার ঘরের চালের উপর দিয়ে পিডিবির
মেইন লাইন গিয়ে বিদ্যুতের তার টিনের চালের সাথে ছুঁই ছুঁই করছে। অনেকবার বিদ্যুৎ অফিসকে
জানিয়েছি তারা এসে দেখে যায় কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়না। বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন অনেক নিচুতে
থাকায় ঘর মেরামত করতে পারছি না । নতুন করে ঘর তুলতে পারছি না। আমরা কয়েকজন মিলে বাশের
খুটি দিয়ে কোন রকম তার আটকে রেখেছি। তার ছিরেও পরেছে কয়েকবার। সব সময় টেনশনে থাকি যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
স্থানীয় শুকতারা বিদ্যানিকেতন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, স্কুলের রাস্তায়
পিডিবির মেইন লাইনের তার বাশের খুটিতে ঝুলে এটা খুব দুঃখ জনক। আমি স্থানীয় বাসিন্দারের নিয়ে
কয়েকবার লিখিত ভাবে বিদ্যুৎ অফিসকে জানিয়েছি তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। কিছুদিন পরপর বাশের খুটি পচেঁ নষ্ট হয়ে যায়, বিদ্যুতের তার ছিড়েও পরেছে কয়েকবার। স্কুলের একমাত্র
চলাচলের রাস্তা এটি শিক্ষার্থীরা সারা দিন আসা যাওয়া করে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের
দূর্ঘটনা।
পৌর ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেদ মাহমুদ সুমন জানান, আমি বিদ্যুৎ অফিসকে এ বিষয়টি
অনেকবার জানিয়েছি। তারা এসে দেখে গেছেন। উনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে
জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ত্রিশাল বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী
রুবেল আহম্মেদ জানান, এইটা প্রজেক্টের কাজ। আমার আরএমজের বাইরে। আমি প্রজেক্ট
ম্যানেজারকে আমিও বলেছি ও এমপি সাহেব বলেছেন দ্রæত সময়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। এটা
আমার নিয়ন্ত্রনের বাইরে। এটা যারা প্রজেক্ট নিয়েছে তারাই কাজ করবে।
বিদ্যুত প্রজেক্ট ম্যানেজার আনোয়ার আকাশ বলেন, আমি সরেজমিনে লোক পাঠিয়ে বিষয়টি দেখেছি।
এক সপ্তাহের মাঝে খুটি দিয়ে তার সড়ানোর ব্যবস্থা করবো। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তা পাড়াপাড়
করছে গত দেড় বছরে আপনার এ বিষয়টি নজরে আসে নাই? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লোক
পাঠিয়ে বিষয়টি দেখেছি। কিন্তু লেবাররা রিস্কের কাজ করতে চায়না। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি
করে দিবো।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park