78 বার পঠিত
নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি লেনদেনকে আরও সহজ করতে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সেই ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছিল ৫২টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় সম্মতিপত্র (এলওআই) দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
লাইসেন্স পেতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, করি ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজি-টেন, ডিজিটঅল, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক এবং নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ৫২ প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। তিনটা কমিটি মূল্যায়ন করেছে। আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকনোলজি, সিকিউরিটিসহ আরও কিছু বিষয় মিলে ১০০ স্কোর ধরে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে যারা ৬০’র বেশি স্কোর পেয়েছে তাদের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হলেও ইন্স্যুরেন্সের একটিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বাকি ৮টিকে এলওআই দেওয়া হয় যার মধ্যে ৩টি ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের বাইরের।
তিনি আরও বলেন, নীতিগত অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন প্রতিষ্ঠান হলো- ডিজি টেন, ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ এবং ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি হলো- নগদ ও এসিআই-এর কড়ি ডিজিটাল পিএলসি। এ দুটিই এখন এলওআই ইস্যু করা হলো। বাকি তিন প্রতিষ্ঠানকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ তিন প্রতিষ্ঠান একই গ্রুপের হওয়ায় নগদ ও কড়ির পারফরম্যান্স দেখে ছয় মাস পর এলওআই ইস্যু করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় অর্থ সচিবসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, নুরুন্নাহারসহ প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।