89 বার পঠিত
টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর আছার’বনিয়া নাম স্থানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম ইমন নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে ঘটনার প্রাধান আসামিকে ৭২ ঘন্টার মাথায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস টিম। এর আগে
গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর আছার’বনিয়া গ্রামে, সকালে জালের ঘিরা বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আজিরানের ছেলে নুরুল ইসলামের পুত্র: কামরুল ইসলাম ইমন (২২) কে ধারালো দা বঁটি লাঠি দিয়েউপর্যপুরী এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন, একি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পুরান পাড়া এলাকার সাকের আহমেদের ছেলে হেলাল উদ্দিন(২৭) আবছার উদ্দিন(২৪) তারা দুই ভাইয়ের স্ত্রী হাসিনা বেগম সফুরা খাতুন ও বেলালের পিতা সাকের আহমেদ।
পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহত হয় বলে জানান স্বজনরা, পরে কক্সবাজার ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হলে সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বেলা ১২টায় লাশ বাড়িতে পৌঁছে। নিহতের পর পরই ঘটনায় জড়িত ৫ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ভিকটিম পরিবার।
এর পর গত বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ছমিউদ্দিনের পরামর্শক্রমে এসআই মোহাম্মদ ইছমাইলের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার লাইটহাউজ এলাকার পাহাড়ের পাদদেশের একটি টিনের ঘর থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ঘটনার প্রধান আসামি হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করেন।
এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দিন, জানান, ঘটনার সাথে সাথে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে আসছে, মামলার পর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়, পাশাপাশি অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।