1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
রাজাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান - দৈনিক দেশেরকথা
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি নোয়াখালীতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, কাকাসহ ২জনের যাবজ্জীবন  রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক তিনিই হবেন রাষ্ট্রপ্রধান: হাসনাত আব্দুল্লাহ গলাচিপায় রাজনৈতিক প্রভাবে ১৭ বছর অবরুদ্ধ একটি পরিবার সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ জবিস্থ নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে আশরাফুল-রিদুয়ান পুলিশ কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগে ঘুষ বা অর্থ লেনদেনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মাইকিং গভীর নিম্নচাপ রূপ নিল ঘূর্ণিঝড়ে, সারাদেশে বৃষ্টির আভাস শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে: চিফ প্রসিকিউটর

রাজাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান

এম খায়রুল ইসলাম পলাশ
  • প্রকাশ শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 158 বার পঠিত



রাজাপুর(ঝালকাঠি)প্রতিনিধি ঃ- ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ১০নং নৈকাঠি এস হক স. প্রা. বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, ১৯৯৯ সালে চার কক্ষ বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। একটি কক্ষে অফিস আর তিনটি কক্ষে দুই শিফটে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয় শ্রেণির পাঠদান চলে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ৯৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নির্মাণের পর থেকে এই ভবনটি একাধিক বার সংস্কার করা হয়েছে।

গত কয়েক মাস আগেও এই ভবনটি সংস্কার করায় বাহির থেকে দেখে ফিটফাট মনে হলেও বর্তমানে ভবনটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ভবনের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। ভবনের পিলার ও সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পরে লোহার রড বের হয়ে গেছে। বর্ষাকালে ছাদ থেকে পানি পরে। বিদ্যালয়ে অন্যকোন ভবন না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলকর্তৃপক্ষ। এখন যে কোন সময় ভবনটি ধ্বসে পড়তে পারে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা সব সময় অতঙ্কে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে অবিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়। এ কারনে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী সাইমুন হোসেন, সোয়াইব হাসান, আবির আহম্মেদ, রাবেয়া বসরী জানায়, ক্লাসরুমে মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে আমাদের শরীরে পরে। ভয়ে আমাদের অনেক সহপাঠি এখন স্কুলে আসে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক মোজাম্মেল তালুকদার, মরিয়ম বেগম, সুলতান মাঝী, সেলিম জমাদ্দার জানায়, স্কুলের ভবনটি জরাজীর্ণ, যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের ১০নং নৈকাঠি এস হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন বেহাল অবস্থা।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শফিউল আলম জানান, ভবনটি নির্মাণের সময়ই অনিয়ম হয়েছে। ভবনটির বর্তমান যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে। তাই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা শিরিন বলেন, ভবনের এ অবস্থা দেখে ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায়না। দিনে দিনে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অভিভাবকদের মধ্যেও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে অনিহা দেখা দিয়েছে। তাই এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পাশাপাশি একটি নতুন ভবন জরুরী হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কথা উপর মহলে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান আসেনি।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park