ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরসহ তিন জনের নামে মামলা হয়েছে।
এামলা অপর দুই আসামী হলেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকিরের বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এআরএসএম মনিক হাওলাদার ও রেজাউল করিম জাকিরের কলেজ কলেজ পড়ুয়া ছেলে জিসানবৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মরহুম বেলায়েত হোসেনের ছেলে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রিফাত হাসান রুবেল।
দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক আবুল কালাম আজাদ মামলাটি তদন্তের জন্য বরিশাল পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বেঞ্চ অফিসার শাহাদাৎ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের পরিবার ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরের সাথে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল ।
তারই ধারাবহিকতায় গত ১০ জুলাই ঈদ উল আযহার দিন রাত দশটার দিকে রেজাউল করিম জাকির, তার বড় ভাই মানিক হাওলাদার, রেজাউল করিম জাকিরের ছেলে জিসান (২১) এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী দা, ছ্যানা, চাপাতি, পিস্তল, হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া কলেজ মোড় এলাকার মরহম বেলায়েত চেয়ারম্যানের বাড়িতে প্রবেশ করিয়া ত্রাস সৃস্টি করে বাড়িতে হামলা চালায় ।
চেয়ারম্যানের বড় ছেলে মনির হোসেন মাহমুদ সোহেল, মেয়ে রুমানা তাসমিন শান্তা আসামী রেজাউল করিম জাকিরকে হামলার কারণ জিজ্ঞেস করলে, জাকির তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া মুনির মাহমুদ সোহেলকে পিটিয়ে জখম করে এবং কোমড় থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার চেস্টা করলে ছোটবোন রুমানা তাসমিন শান্তা সোহেলকে রক্ষা করতে গেলে ২নং আসামী মানিক হাওলাদার তাকেও এলোপাথারি মারধর করে ।
অপরাপর আসামীরা বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ৩নং আসামী জিসান একটি হাত বোমার বিস্ফোরল ঘটায় ।
মামলার বাদীসহ সকলে জীবন বাচাতে বাড়ির মূল গেট বন্ধ করে ডাকচিৎকার করতে থাকলে আসামীরা অস্ত্র প্রদর্শকরে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার সময় মানিক হাওলাদার বাদীর ছোট ভাইয়ের ভায়রা নাসির নকিবকে রড দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ।
তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । মামলার বাদী রিফাত হাসান রুবেল জানান, ঘটনার পরপরই ঝালকাঠি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরেরদিন সোমবার ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ঝালকাঠি থানার ওসি মামলা নিতে অস্বীকার করেন ।
সে কারনে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যপারে ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির জানান, ঈদুল আজহার দিন রাতে কে বা কাহারা আমার প্রতিবেশী মরহুম বেলায়েত চেয়ারম্যানের বাড়ির মধ্যে আতশবাজি ফোটায় ।
চেয়ারম্যানের ছেলেরা আমার হাফিজী পড়ুয়া নয় বছরের ছেলে রাইয়ানকে সন্দেহ বশত আটক করে গালিগালাজ ও মারধর করে। এ ঘটনা নিয়ে আমার আত্মীয় স্বজন ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃস্টি হলে আমি ও আমার বড় ভাই মানিক সকলকে শান্ত করার চেস্টা করি ।
এ সময় নাসির নকিব নামে একজন ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে আহত হন । চেয়ারম্যান বাড়িতে কোন হামলা বা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি । আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করার জন্য আমিসহ আমার ভাই ও সন্তানের নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।