90 বার পঠিত
ঘোষিত বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৮৭ লাখ ৭৬০ টাকা। ব্যায় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। বাজেটে প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ৭৬০ টাকা এবং সমাপনী উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬০ টাকা। গত অর্থ বছরে এই বাজেটের পরিমাণ ছিল ১৫৫ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ টাকা হাজার ৫৭৬ টাকা।
পৌর মেয়র তাঁর বাজেট বক্তব্যে বলেন, নান্দনিক পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে এবারের বাজেটে বনায়ন, ময়লা আবর্জনার ডাম্পিং জোন নির্ধারণ, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এসব কাজ বাস্তবায়ন হলে শহর আরো সুন্দর ও আলোকিত হয়ে উঠবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
পৌরবাসী সহ বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি , প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নিকট পৌর কর, পানির বিল ও ট্রেড লাইসেন্স ফি বকেয়া আছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রত্যেকের কাছে আবেদন করছি আমাদের বকেয়া পৌর কর, পানির বিল ও ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে পৌরসভার উন্নয়নের সহযোগিতা করুন। সরকারি উন্নয়ন সহায়তা পৌরসভার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম যার কারনে শহরের একটি রাস্তা বা ড্রেন এর কাজ করা সম্ভব নয়। আপনাদের দেয়া টাকাতেই শহরের উন্নয়ন কাজ করতে হবে এবং বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা যখন আমাদের বকেয়ার হার বেশি দেখবেন তখন পৌরসভার উন্নয়নের জন্য দাতা সংস্থাগুলো সাহায্য সহযোগিতা দিতে আগ্রহ হারাবেন। ২৪ শে জুন ২০২৪ টিএলসিসি সভায় এবং ৩০শে জুন পৌর পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তা অনুমোদিত হয়েছে।
সাংবাদিকদের বলেন পৌর শহরের যে কয়টি খাল রয়েছে সব খাল গুলো এস এ রেকর্ড অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে খাল গুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবো যাতে করে আর পৌরবাসী জলাবদ্ধতার শিকার হবেন না। আপনাদের সহযোগিতা আমার প্রয়োজন। আপনারা সব সময় সত্য তথ্য তুলে ধরবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান দিপু , তরুণ কুমার কর্মকার প্যানেল মেয়র ঝালকাঠি পৌরসভা, শাহীন সুলতানা, পৌর সচিবসহ পৌরসভার কাউন্সিলর , বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক সাংবাদিক ও পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৬ দশমিক ০৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঝালকাঠি পৌরসভা। পৌর এলাকার ০৯টি ওয়ার্ডে বসবাস করেন ৮৫ হাজার ৫৩৪ জন মানুষ।