1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. jonehaidar42@gmail.com : Daynik DesherKotha : Daynik DesherKotha
ঝালকাঠির সুগন্ধি কাগজি লেবুর কদর দেশ-বিদেশে - দৈনিক দেশেরকথা
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম পটুয়াখালীর দুমকিতে পিস্তলসহ অপহরণ ও ডাকাত চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ভাগ্য ফিরলো সেই ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশা চালকের, পেলেন অর্থ-সয়হতা হতে যাচ্ছে চাকরির ব্যবস্থা উলিপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাগেরহাটে একসাথে অর্ধশত শিশুর জন্মদিন উদযাপন পরকীয়া প্রেমিকসহ শশুরের হাতে আটক পুত্রবধু। ওঝার ভরসায় সময় পাড়; হাসপাতালে নেওয়ার পড়ে মৃত্যু টেকনাফে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ আ.লীগ সরকারের করা চুক্তিতে ভারত থেকে দেশে আনা সম্ভব হাসিনাকে- দুদক চেয়ারম্যান। আগামী পহেলা জুন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিলেরে রায় অটোরিকশাচালক হত্যার দায়ে নারায়ণগঞ্জে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঝালকাঠির সুগন্ধি কাগজি লেবুর কদর দেশ-বিদেশে

মোঃ খলিলুর রহমান মনির
  • প্রকাশ রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

 101 বার পঠিত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি>ঝালকাঠি জেলায় ২২টি গ্রামের ৯২ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় সুগন্ধি কাগজি লেবুর। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ রসালো লেবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা ঝালকাঠি – বরিশালসহ সারাদেশের বাজারগুলো। বাজারে বিভিন্ন জাতের লেবু বারোমাস পাওয়া গেলেও মৌসুমী এ কাগজি লেবুর চাহিদা অনেক বেশি। ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষি অঞ্চল খ্যাত কির্তিপাশা, নবগ্রাম ও গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ২২টি গ্রামেই কাগজি লেবুর উৎপাদন হয়। গ্রামীণ হাট-বাজারে বিক্রি হলেও মূল মোকাম ভীমরুলী।  ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভিমরুলীর ভাসমান লেবুর হাট চলতি মৌসুমে জমে উঠেছে । প্রতিদিন এখানে লাখ লাখ লেবু কেনা-বেচা হয়। পাইকাররা নৌকা থেকে লেবু কিনে গাড়িতে করে বরিশাল আড়তে নিয়ে বিক্রি করে।

অনেকে মালবাহী ট্রলার বা ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফরমালিন ও রাসায়নিক কেমিক্যাল মুক্ত রসালো সুগন্ধি কাগজি লেবু সবার কাছেই প্রিয়। ঝালকাঠির বাউকাঠি, শতদশকাঠি, ভিমরুলী, কাফুরকাঠি, আটঘর, গাভারামচন্দ্রপুর, বাষন্ডা, ডুমুরিয়া, খেজুরা, কির্ত্তীপাশা, মিরাকাঠিসহ ২২টি গ্রাম এখন লেবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা। প্রতিদিন এসব গ্রামের কৃষকরা গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করে নৌকায় ভিমরুলী ভাষমান বাজারে নিয়ে আসে। অপেক্ষমান পাইকাররা ট্রলারে বসেই লেবু কিনে রাখছে।

লেবু চাষিরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার ফলন কম হওয়ায় দাম একটু বেশি। গত বছর ১ পোন (৮০টি) লেবু ছিল আড়াইশ’ টাকা। এবার তা ৪শ’ টাকা। গ্রামের কৃষকরা সজ্জন পদ্ধতিতে (কাঁদি কেটে) লেবু চাষ করছেন। এক একটি কাঁদি ১শ’ থেকে ১১০ হাত লম্বা এবং ৭-৮ হাত চওড়া হয়। প্রতিটি কাঁদিতে ২২ থেকে ২৫টি গাছ লাগানো যায়। এরকম ১ বিঘার কাঁদিতে লেবু চাষ করতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। ফল ধরার পরে প্রতি বছর লেবু বিক্রি করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যায়। সে হিসেবে লেবু বিক্রি করে প্রতি বছর কৃষকরা আয় করছে দেড় থেকে ৩ কোটি টাকা।

লেবুর পাইকার ব্যবসায়ী সাইফুর রহমান জানান, পটুয়াখালী থেকে মালবাহী ট্রলার এলে সেই ট্রলারে পটুয়াখালী মোকামে পাঠানো হয়। ওখানের কাচামাল বিক্রেতাদের আগেই চুক্তি করা থাকে। কেনা দামের ওপর লাভ রেখে বিক্রি করা হয়।

পাইকাররা জানান, তীব্র গরমে  কারণে ঘেমে শরীর দুর্বল হয়। জ্বর,  সর্দি, কাঁশিতে আক্রান্ত হলে লেবুর শরবত পান করলে আরোগ্য লাভ করে। তাই কাগজি লেবুর চাহিদা প্রতিবছরের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। এজন্য কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য দিয়েই লেবু কিনে নেয়া হচ্ছে। ভালো মানের একটি লেবুর ক্রয় মূল্যই হচ্ছে ৫টাকা। যা খুচরা বাজারে ৭/৮টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রতিবছরই লেবুর চাহিদা থাকে কিন্তু এবছর তুলনামূলক চাহিদা একটু বেশি।

লেবু চাষি রাশেদ জানান, ঝালকাঠির এ লেবুর কদর সবার কাছেই একটু বেশি। ফলন ধরার পর দু’ভাবে লেবু বিক্রি করে থাকি। প্রথমত স্থানীয় ভিমরুলী বাজারে পাইকারদের কাছে। এ ছাড়াও গাছে ফল আসার পর পাইকারদের কাছে বাগান বিক্রি করি এককালীন নগদ টাকায়। ভীমরুলী থেকে নৌকা বা ট্রলারে করে পাইকাররা কিনে তা সরবরাহ করেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এবছর ঝালকাঠি জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৯২ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ করা হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে লেবুর ফলন প্রতিবছরের চেয়ে এবছর কম হলেও কৃষকরা ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি। দেশীয় সুগন্ধিযুক্ত কাগজি লেবু ছোট হলেও ভেতরে পর্যাপ্ত রস থাকে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ লেবুর প্রতি সবারই কম-বেশি আকর্ষণ আছে। লেবুচাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে গাছের পরিচর্যাসহ সার্বিক পরামর্শ দেয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও তিন কোটি টাকার বেশি বিক্রি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park