72 বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধ>জেলার চিলমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছাঃ ছালমা আক্তার সায়মা। সে এবার ৬৭৭,চিলমারী-বি কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।এর মধ্যে সে যথারীতি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ধর্ম , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা দেয়। সে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী হিসেবে ১৩ মে তারিখ পরের দিন অনুষ্ঠিতব্য পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্রস্তুতি চলাকালীন সময়ে সে তার প্রবেশ পত্রে দেখে প্রবেশপত্রটি মানবিক বিভাগের। এটি দেখার পর সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। কারণ পরীক্ষার মাত্র আর কয়েক ঘন্টা বাকি তাও আবার অফিসিয়াল সময় শেষ হয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। কোনো উপায় না দেখে সে পরীক্ষার আশা ছেড়ে দেয়। এক পর্যায়ে তার মাঝে আশার আলো জেগে ওঠে এবং বিষয়টি কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানান। তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সকল তথ্য সংগ্রহ করে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে রাতের মধ্যেই পরীক্ষার সংশোধিত প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় তাঁর অনেক রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও এ শিক্ষার্থীকে নিজস্ব বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের একটি মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই শিক্ষার্থীর কান্না শেষ পর্যন্ত আনন্দে পর্যবসিত হয় এবং সে ১৪ মে তারিখের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এরূপ উদ্যোগে একজন পরীক্ষার্থীর বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হলো। তিনি এ জেলায় যোগদানের স্বল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সাথে এক আন্তরিকতাপূর্ণ নিবিড় সম্পর্ক ও পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর এ ধরনের মহতী কাজের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের একান্তই পিতৃসুলভ আপনজন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
তাঁর এরূপ নিষ্ঠাপূর্ণ মানবিক কাজের জন্য কুড়িগ্রামবাসী ধন্যবাদ জানান। একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের মানবিক ও উচ্চ দায়িত্ববোধ সরকারের জনবান্ধব প্রশাসনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।একজন শিক্ষাবান্ধব জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দেয়ার স্বপ্ন ও প্রচেষ্টা সার্থক হলো।