133 বার পঠিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি>সরকারের উন্ন্য়নের পাশাপাশি কুড়িগ্রামের চর এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত জনগনের পূর্ণ জীবনমান প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করছে বেসরকারী উন্নয়নমূলক সংস্থা “ফ্রেন্ডশিপ” এর ট্রান্সজিশন ফান্ড (এএসডি) প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী ও রৌমারী উপজেলায় ২৪টি গ্রামে ফ্রেন্ডশিপ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ৭২০ জন অসহায় দুস্থ সদস্যদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ফ্রেন্ডশিপ” এর ট্রান্সজিশন ফান্ড (এএসডি) প্রকল্প ব্যাবস্থাপক কৃষিবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম মল্লিক জানান, সদস্যদের সঞ্চয়ী মনোভাব, সঞ্চয় তহবিল গঠনে দক্ষতা বৃদ্ধি ও এ্যাডভোকেসি সহায়তায় স্থানীয় সম্পদ সন্নিবেশিত করনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভৌগলিক দুর্দশাগ্রস্থতা হ্রাসকরণ এবং স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও সদস্যদের আয় রোজগার নিয়মিতকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্ন্য়ন, সম্পদবৃদ্ধি এবং সমাজে সুশাসন যেমন বাল্যবিবাহ রোধ,পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ, জাতীয় সংসদ ও সংবিধান সম্পর্কে ধারণা, জিডি করার কৌশল ইত্যাদি শিক্ষামূলক আলোচনাসহ দুর্যোগ পরিন্থিতি মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৭২০ জন সদস্যকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রত্যেকে একটি করে ভেড়া, উন্নত মানের সব্জী বীজ, পেঁাকা মারার ফেরোমন ফাঁদ ও ওষুধ, বীজ সংরক্ষনের পট বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।রৌমারী উপজেলার পাড়ের চর এফডিএমসির সদস্য মোছা: রাশেদা খাতুন, বিউটি খাতুন, স্বপনা বেগম, খায়রুন নেছা ও আব্দুর রশিদ বলেন, “ফ্রেন্ডশিপ” এর ট্রান্সজিশন ফান্ড (এএসডি) প্রকল্প আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা চরাঞ্চলের মানুষ নিজেদের বসতবাড়ীতে আধুনিক পদ্ধতিতে বেড এবং মাদায় জৈব সার ব্যবহার করে ভালোমানের সবজি চাষ করে নিজেদের খাদ্যের চাহিদা ও পুষ্টি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।
তাছাড়া অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি। যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী গ্রামের এনামুল হক মন্টু বলেন, “ফ্রেন্ডশিপ” থেকে একটি উন্নত জাতের ভেড়া পেয়ে ছিলাম। সেটি পালন করে ৬ মাস পরে আমি তিনটি ভেড়ার মালিক হয়েছি। এই ভেড়া পালন করে আমি স্বাবলম্বী হবো ইনশাআল্লাহ। একই কথা বলেন, লাইলী বেগম, আব্দুল মান্নান, আমেনা বেগম।
দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রেজা বলেন, ফ্রেন্ডশিপ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমার এলাকার ৪টি গ্রামের মানুষ উন্নত জাতের শাক-সব্জি ও ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বন্যা পরবর্তি সময়ে তারা আমার সাথে কথা বলে তাদের গ্রামের ভাঙ্গা রাস্তায় নিজেরাই বাশেঁর সাঁকো তৈরী করেছেন। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে আমাকে তারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন। এভাবে যদি প্রতিটি গ্রামের মানুষ আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে তাহলে দারিদ্রতার হার অনেকাংশে কমে আসবে বলে আমি আশা করি।