1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - দৈনিক দেশেরকথা
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম গলাচিপায় ব্র্যাক ওয়াটার, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন ওয়াশ প্রোগ্রাম কর্মসূচী অনুষ্ঠিত।  কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত দ্রুত শুরু হবে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ গলাচিপায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামির শুনানি আজ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে বসানো হতো আওয়ামী লীগ অনুগত্যদের এখন টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি মাসুমা আক্তার আর নেই কেন চিনি খাবেন না নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ নাগরিকদের তথ্য ফাঁস বাঁচাতে এনআইডি ভেরিফিকেশনে নতুন সিদ্ধান্ত: ইসি

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশ সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

 107 বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান খুবই সামান্য হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের সম্ভাব্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক পয়েন্ট ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমিত রাখতে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে ইনটেন্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইনড কনট্রিবিউশন (আইএনডিসি) প্রণয়ন করে। আর ২০২১ সালে তা হালনাগাদ করা হয় এবং ইউএনএফসিসিসিতে জমা দেয়া হয়। এতে আমরা শর্তহীন ৬.৭৩% এবং শর্তযুক্ত পণ্য .১২% গ্রিস হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হ্রাস করে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়ায়; বাংলাদেশের প্রায় ১২ থেকে ১৭ শতাংশ অঞ্চল এ শতাব্দীর শেষ দিকে সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েুছে।

আগামী ২৭ বছরে ন্যাপে এ গৃহীত কর্মপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। এজন্য সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে ধনী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অধিক ভূমিকা রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা, তাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা প্রত্যাশা করি, উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান ০.৪৮ শতাংশের কম হলেও; এর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে আমরা অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিরূপ প্রভাব আমাদের সম্ভাব্য উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে আরো বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরেও বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে থাকা দেশগুলো যাতে অব্যাহতভাবে আর্থিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায়, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যে সকল দেশ এরইমধ্যে ন্যাপ প্রণয়ন করেছে, তারা যেন ন্যাপ বাস্তবায়নে সহজে এবং দ্রুততার সঙ্গে আর্থিক সহযোগিতা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি হ্রাসে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে ৬ দফা প্রস্তাবনার দেন প্রধানমন্ত্রী।

৬ দফা প্রস্তাবনার মধ্যে উন্নত দেশগুলোর দ্বারা জলবায়ু তহবিলে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে- এ কথা জানিয়ে আবারও তিনি বলেন, যুদ্ধ ও অস্ত্র কেনায় ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park