43 বার পঠিত
এসএসসি গণিত পরীক্ষায় পটুয়াখালীর গলাচিপা মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নলুয়াবাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মাসুদুর রহমান মাসুদ পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা উপেক্ষা করে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন এবং নিজ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবারের হলেও বৃহস্পতিবার এ অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভ ও তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ওইদিন গণিতের শিক্ষক মাসুদুর রহমান গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের পাশের ২০৬ নম্বর কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। ওই কক্ষটিতে শিক্ষকের নিজ প্রতিষ্ঠান নলুয়াবাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের আসন ছিল। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কক্ষে একই বিষয়ের অর্থাৎ গণিত বিষয়ের পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করায় স্বাভাবিক কারণে শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছু পরে বিষয়টিতে কয়েকজন শিক্ষকের নজরে পড়ে। শিক্ষকরা বিষয়টি কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নজরে আনেন। এরপর ওই শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ততক্ষেনে পরীক্ষার দুই ঘন্টা শেষ হয়ে যায়। এনিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও অজ্ঞাত কারণে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপরন্তু ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। তবে এখন জানতে পারলাম। তবে ওই শিক্ষক যে কাজটি করেছেন, তা অনৈতিক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সুপার মোঃ সাহিন বলেন, ওইদিন আমাদের তিনজন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে মাসুদুর রহমান মাসুদকে বিএসসি কৃষি শিক্ষক হিসেবে কক্ষ পরিদর্শনে দিয়েছি। তবে যখন জানতে পারি তিনি বিএসসি গণিত শিক্ষক, তখনই তাকে প্রত্যাহার করে অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা এ বিষয়ে জানান, ওই শিক্ষককে পরবর্তী আর কোনো পরীক্ষায় যেন দায়িত্ব না দেওয়া হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে গণিত শিক্ষক মাসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়