1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
গলাচিপায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ,নিয়োগের ১বছর ১০ মাস পর যোগদান,এলাকায় উত্তেজনা – দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সিটি ইউনিভার্সিটিতে ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, দায়ীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি সেনাপ্রধানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার, সতর্ক থাকার আহ্বান সেনাবাহিনীর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন দেবিদ্বারের অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন ব্রাকসু গঠনতন্ত্রের ত্রুটি সংশোধনের দাবি ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের   কিশোরগঞ্জে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ গ্রেফতার-৬ রায়পুর পৌরসভার লাইসেন্স শাখায় অনিয়ম,অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ   লাকসামে কৃষক ছাদু মিয়া নিখোঁজ২৪দিনেও সন্ধান মিলেনি! দিশেহারা পরিবার ঠাকুরগাঁও ভুল্লীতে কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ ১০ বছরের মধ্যে এনসিপি প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে চাই”: নাহিদ ইসলাম আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে

গলাচিপায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ,নিয়োগের ১বছর ১০ মাস পর যোগদান,এলাকায় উত্তেজনা

পটুয়াখালীপ্রতিনিধি
  • প্রকাশ বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪

পটুয়াখালী গলাচিপায় হাজী কেরামত আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মু.আলিম উজ্জামানের বিরুদ্ধে কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্তে¦ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে অবৈধ ভাবে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্ন সময় শিক্ষা মন্ত্রনালয়, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকসহ উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। নিয়োগের ১বছর ১০ মাস পর যোগদান এলাকায় উত্তেজনা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চর বিশ^স ইউনিয়নের হাজী কেরামত আলী ডিগ্রি কলেজর অধ্যক্ষ পদটি ২০১৯ ফেব্রুয়ারি   মাস থেকে শূণ্য ছিল। গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ওই সময়কার কলেজ পরিচালনা কমিটি সভাপতি কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্তে¡ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে মু.আলিম উজ্জামানকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া না হওয়া ও অধ্যক্ষ মু.আলিম উজ্জামানের কাম্য যোগ্যতা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর পরিচালনা কমিটির সভায় অধ্যক্ষর নিয়োগ বাতিল করা হয় এবং প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এ নিয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়কে অবহিত করলে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-কলেজ পরির্দশক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ ভূঞা ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.আহম্মেদ শরীফ তদন্ত করে মু.আলিম উজ্জামানের অধ্যক্ষ হিসেবে আবেদন করার যোগ্যতা না থাকা সত্তে¡ও জালজালিয়াতির আশ্রয় নেয়ায় নিয়োগ বাতিলসহ প্রয়োজনী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রহনের সুপারিশ করেন। সুপারিশের প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরির্দশক ফাহিমা সুলতানা ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর মু.আলিম উজ্জামানের নিয়োগ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দেন।

এব্যাপারে কালেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল হক ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পটুয়াখালী তদন্ত করে জালজালিয়াতির প্রমান পেয়ে ২০২৪ সালের ২৭  মার্চ  তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

ওই সময়কার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল হক (প্রভাষক বাংলা বিভাগ)  বলেন, ২০২২ সালে ২৪ আগষ্টে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমার দায়িত্ব ভার গ্রহনের আগে মু.আলিম উজ্জামান চক্র রেজুলেশন খাতা সৃজন করে ২০ আগষ্ট ২০২২ পরিচালনা শিক্ষক প্রতিনিধি স্বাক্ষর জাল করে কলেজ পরিচালনা কমিটির একটি সভা দেখিয়ে একই সভায় বিজ্ঞপ্তি, বাছাই কমিটি ও নিয়োগ বোর্ড কমিটি দেখানো হয়েছে। ২০২২ সালে ২১ অক্টোবর কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কলেজের একজন জুনিয়র শিক্ষক ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক রেশমা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেখিয়ে একই সময় একই তারিখে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ ভ্যানু দেখিয়ে নিয়োগ বাছাই পরিক্ষা দেখায়।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার (সহকারী অধ্যাপক রাষ্ট্র বিজ্ঞান) জানান, ২০ আগষ্ট ২০২২ সালে আমি পরিচালনা কমিটির কোন সভা করিনি। মু.আলিম উজ্জামান নিজে রেজুলেশন লিখে আমার স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগের সকল কার্যক্রম করে। বিভিন্ন তদন্তের পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি। আমার মেয়াদ শেষে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলা বিভাগের প্রভাষক এনামুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। 

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.জাহিদুল ইসলাম (প্রভাষক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই কলেজ পরিচালনা কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে বা পরে কেউ অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এমন দাবী করেনি। ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর ১১ আগষ্ট এলাকার কিছু লোকজন নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে মু.আলিম উজ্জামান নিজেকে অধ্যক্ষ দাবী করে এবং জোর অধ্যক্ষের কার্যালয় দখল করে। এসময় কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা আমার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। 

কলেজের অধ্যক্ষ  মু.আলিম উজ্জামান বলেন, এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়াই অনুসরণ করে আমাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নিয়োগের পর কলেজে যোগদান করতে গেলে কিছু শিক্ষক আমাকে ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ গোলাম মোস্তফাকে কলেজে ঢুকতে দেয়নি। 

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park