211 বার পঠিত
গবি প্রতিনিধি>সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদের পরলোকগমনে প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের সভাপত্বিতে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহিম হাসান শাহেদ অধ্যাপক।
ভেটেরিনারি ও এনিমাল সাইন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেন বলেন, উনি কখনো জনসম্মুখে আসতে পছন্দ করতেন না। কিন্তু উনি ছিলেন একজন নারীবাদী। কাজ করতেন নারীদের উন্নয়নে। উনার শূন্যতা অপূরণীয়।
রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ তার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ ও সকল মানবিক গুণাবলীর আলোচনা করে বলেন, উনি অনেক ভাল ভাল বই লিখে রেখে গেছেন আমাদের মাঝে। উনার রেখে যাওয়া কাজগুলোর থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, উনার মেধা, মনন,ব্যক্তিত্ব আমাদেরকে অভিভূত করে। উনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যার জীবনী পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই নানামুখী বৈচিত্র্যতার ছোঁয়া। সর্বোপরি, তার পরিবারের মঙ্গল কামনা এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিক থেকেই যেকোনো ক্ষেত্রে খুবই আন্তরিক ছিলেন। উনার অভাব অপূরণীয়।
উক্ত স্মরণসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, IQAC এর পরিচালক ও সভাপতি ডা. লায়লা পারভিন বানু, অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, উনি বাংলা একাডেমি, এশিয়াটিক সোসাইটি, বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, একুশে চেতনা পরিষদসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। এখন পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৮৬ টি।