89 বার পঠিত
কুড়িগ্রামে ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে ২ কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নে ধান কাটতে গিয়ে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে বাবলু চন্দ্র (৫০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে (২ মে) ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বামনডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বামনডাঙা ইউনিয়নের সরদারের ভিটা গ্রামের রাজকুমারের ছেলে। নদীভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে নাগেশ্বরী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের এগারো মাথা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
তার অসুস্থতা নিয়ে জানতে চাইলে তার শ্যালক বিষ্ণু বলেন, ‘অনেক বছর আগে তার একবার স্ট্রোক হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে সুস্থ ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করে জীবন চালাচ্ছিলেন। আজ জমিতে কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত গরমে হয়তো আবারও স্ট্রোক করে মারা গেছেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।’
চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি বলেন, ‘ওই শ্রমিক আমার এলাকার ভোটার ছিলেন। আজ জমিতে ধান কাটার কাজ করতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।
এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নে ধান কাটতে গিয়ে অতিরিক্ত রোদ ও গরমে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় ফারাজিপাড়া গ্রামে অন্যের জমিতে ধান কাটতে যান শ্রমিক আবুল হোসেন(৬০)।১মে বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে জমিতেই ঢলে পড়ে তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, আবুল হোসেন সুস্থ ছিলেন। মাত্রাতিরিক্ত গরমে ‘হিটস্ট্রোকে’ তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শ্রমিকের ১ স্ত্রী, ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর ইউএনও মুসফিকুল আলম হালিম বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত গরমে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পরে ডিসি স্যারের নির্দেশে নিহত শ্রমিকের পরিবারের কাছে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা ও নগদ ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা হস্তান্তর করেছি।’
সহায়তা প্রদানকালে চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মিলন ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।