193 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে ৫২শতাংশ কিশোরী বাল্যবিয়ের শিকার।এসব কিশোরীদের নতুন করে জীবন দিতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।এরই ধাবাহিকতায়,মে মোমেন্ট ২০২৩ ছড়িয়ে দেই তারুণ্যর কণ্ঠস্বর,আমার গ্রাম আমার দায়িত্ব,শিশুর জীবন হোক বাল্যবিয়ে মুক্ত এরকম নানা প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা গঠনে বিগত ১ বছরের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩মে)সকালে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে, কিশোরগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রামের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ আবুল কালাম বারী পাইলট,ইউএনও নুর-ই-আলম সিদ্দিকী,সমাজসেবা অফিসার জাকির হোসেন,এমপি প্রতিনিধি রেজাউল আলম স্বপন,এপি ম্যানেজার পিকিংচাম্বুগং,প্রোগ্রাম অফিসার নেলসন সরেন,জন কেনেডি ক্রুশ,দোলন কূবি,জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আনোয়ার হোসেনসহ ৬টি কর্ম এলাকার৩২টি গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও সরকারের পাশাপাশি সংস্থাটি বাল্যবিয়ে রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করায় ভূয়সি প্রশংসা করেন।
বাল্যবিয়ে রোধে আইনি সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।জানা যায়,সংস্থাটি বাল্যবিয়ে রোধে ব্যতিক্রম কার্যক্রম হাতে নেয়।এ কার্যক্রমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ের ৪১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৫টি দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দর্শম শ্রেণী পর্যন্ত কিশোরী শিক্ষার্থীদের হাজিরা তথ্য সংগ্রহ করেন।
এ হাজিরা তালিকা উপজেলা প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর করা হয়।যা প্রতি মাসে উপজেলা প্রশাসন ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে মনিটরিং করবে।কোন শিক্ষার্থী ৩ দিনের বেশি বিদ্যালয় কিংবা মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকলে তার কারণ অনুসন্ধান পূর্বক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।পাশাপাশি১৬টি গ্রামে ১১থেকে১৮ বছর বয়সী প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কিশোরীর তালিকা করে একই ভাবে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের হাতে তুল দেয়া হয়।তারা প্রতিমাসে এসব কিশোরীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনিটরিং করবে।
যাতে কোন কিশোরী বাল্যবিয়ের শিকার না হয়।এ ধরনের মনিটরিং রেজুলেশন মূলে প্রতিবেদন প্রদান করতে হবে।