1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
কিশোরগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে  ঠাঠারী পেশার কারিগর  - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু,৪০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চট্টগ্রামে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই শ্যামলীতে আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা, ৩ শিক্ষার্থী আহত ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিজিবি অনুরোধ পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয় পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা

কিশোরগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে  ঠাঠারী পেশার কারিগর 

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

 130 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>স্টিল-মেলামাইন প্লাস্টিকের  তৈজস পত্রের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল,সিলভারের হাড়ি,পাতিল, টিনের তৈরি বালতি,হারিকেন,ল্যাম্প(কুপি),,ড্রাম।  সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো তৈজসপত্র মেরামতের ঠাঠারী  কারিগররা।আধুনিকতার ছোঁয়ায় ক্ষুদ্র ঠাঠারী শিল্পটিও আজ বিলুপ্তপ্রায়। এ শিল্পের  তৈজস পত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে হরেক রকম কোম্পানির নান্দনিক সব তৈজসপত্র ।এক সময় কামার শিল্পের আদলে গড়ে উঠা  পুরনো তৈজসপত্র মেরামতের কারিগরদের কদর ছিল ব্যাপক।
এসব কারিগররা  গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে  রাস্তার মোড়ে বসে  ভাতির হাওয়া, হাতে লম্বা  লোহার সিজার (কাচি), সিসার আং পাইন, আর  টুংটাং শব্দে জেড়াতালি দিয়ে  মেরামত করত পুরনো  হাড়ি,পাতিল,ঢাকনা, বালতি,জগ।  এ পেশায় সম্পৃক্ত থেকে অনেকেই সংসারও চালাত। এখন  নিপুণ হাতের  কারিগররা রোজগার জীবনের রসদ খুঁজে না পাওয়ায় অনেকে এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।
কদাচিৎ দেখা মিললেও এর মধ্যে এ কারিগরের দেখা মেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের হাটে। কারিগর সিরাজুল সদর ইউপি’র মুশা হাজি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, একটা সময় গৃহস্থলী পরিবারের  পুরনো জিনিষপত্র যেমন-হারিকেন,ল্যাম্প(কুপি),জগ,বালতি,ড্রামের ভাঙ্গা ফুটো (ছিদ্র) মেরামতের কাজ ছিল প্রচুর।
হাট- বাজারসহ গ্রামে গ্রামে ঘুরে এ সব  মেরামত করা হত। তখন আয় রোজগারও ভাল ছিল।সে দিন আজ শুধুই  স্মৃতি।সময়ের ব্যবধানে মানুষের  রুচির পরিবর্তন আসায়  মুলতঃ প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের রাইস কুকার,কারিকুকার ও বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার এসে এ পেশার ধ্বস নেমেছে। অন্য কাজ জানা না থাকায়, বাধ্য হয়ে ৪০ বছর ধরে কোন রকমে এ পেশায় চলে জীবিকা।
কিশোরগঞ্জ হাটে  পুরনো  বালতি মেরামত করতে আসা মোখলেছার রহমান জানান,আর আগের মত এদের পেশা নেই।সবাই এখন প্লাষ্টিক সামগ্রি ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। একসময় গ্রাম-গঞ্জে  এসব কারিগরদের  বিচরণও ছিল চোখে পড়ার মত। এখন আর তেমন চোখে পড়েনা।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park