29 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>একসময় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কৃষি সেচ ব্যবস্থাপনায় একমাত্র মাধ্যম ছিল মাটির কূপ-কুয়া।এ মাটির কূপ-কুয়া থেকে কৃষক হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বালতির সাহ্ায্য পানি ্উত্তোলন করে ফসল ফলাত।এতে মিটতনা সেচের চাহিদা।উৎপাদন হতনা তেমন ফসল।এ অবস্থায় ঘরে ঘরে ছিল মঙ্গার আতুঁরঘর।
কুয়া খনন করতে গিয়ে অনেক কৃষি শ্রমিক মৃত্যু বরনও করেছেন।কৃষকের এমন দৈন্যদশা থেকে উত্তরণে পরবর্তীতে আবির্ভাব ঘটে কৃষক বন্ধু ট্রেডল পাম্প বা পা চালিত ঢেঁকিকল।যা ক্ষেতে খামারে পানি সরবরাহে কৃষকের জন্য আর্শিবাদ হয়ে হয়ে ওঠে এ পদ্ধতি।কিন্তু গ্রাম বাংলার কৃষি সেচ ব্যবস্থাপনায় এসেছে আমূল পারিবর্তন।আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পানি সেচের ঢেঁকিকল।ঢেঁকিকল পা চালিত একটি সাকশন পাম্প ।এটির যন্ত্র কৌশল অনেকটা টিউবওয়েলের মত।
২০থেকে২৫ মিটার বা তার কম গভীরতা থেকে পানি তোলার জন্য এটি উপযুক্ত।৫ ফিট লম্বা মোটা বাশেঁর দুটি পা দানি উঠা নামার মাধ্যমে পানি তোলা হয়।দুটি বাশেঁর শক্ত খুঁটি সমান দুরত্বে মাটিতে পুতে তার সাথে সংযুক্ত পা দানি লিভারের কাজ করে। যা একটি পাইপের মধ্যে থাকা দু-মুখ পিস্টনকে চালায়।এভাবে অনবরত পা দিয়ে ঢেঁকি চালিয়ে পানি উত্তোলন করা যন্ত্র কৌশল বিশেষ।যা এর মাধ্যমে সেচ দিয়ে ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক চাষাবাদ করত।
কিন্তু কালেরবির্বতনে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষের জীবন যাত্রাকে সহজতর করতে কৃষিতে যুক্ত হয়েছে ডিজেল চালিত স্যালো,ডিপ টিউবওয়েল,বৈদ্যুতিক পাম্প,সেচ ক্যানেলসহ প্রভ’তি সেচযন্ত্র।এক ফসলি জমিতে উৎপাদন হচ্ছে৩/৪ ফসল।মঙ্গা ঠাঁই নিয়েছে যাদু ঘরে। ছনের ঘরের স্থলে পাল্লা দিয়ে ্গড়ে উঠছে দালান বাড়ি।যা অধিক সেচের চাহিদা মেটাতে না পারায় ঢেঁকিকলের কদর নেই বললে চলে।৫০ গ্রাম ঘুরেও এর ব্যবহার দেখা মেলাভার।
কালেভদ্রে এর ব্যবহার চোখে পড়ে সদর ইউনিয়নের মুশা ঝাড়পাড়া গ্রামে ।ওই গ্রামের নুর ইসলাম টুকিটাকি সেচের চাহিদা মেটাতে আজও এর ব্যবহার ধরে রেখেছেন।তিনি জানান,যৎসাম্য জমিজমা তার,স্যালো,কিংবা বৈদ্যুতিক পাম্পে বাড়তি খরচ গুনতে হয়।এ বাড়তি খরচ এড়াতে নিজের শ্রমে উঠোন বাড়িতে শাকসবজি ,বোরোসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদে ঢেঁকিকলের মাধ্যমে সেচের চাহিদা মেটাচ্ছেন। মানুষ এখন আতœসামাজিক পরিবর্তনে অল্প সময়ে অধিক জমিতে সেচযন্ত্রের দিকে ঝুঁকছে।এতে ঢেঁকিকল বিলুপ্তির পথে।
কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক জ্যোতি কৃষ্ণ রায় বলেন,১৯৭৭ সালে ঢেঁকিকল আবিস্কার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন,ট্রেডল পাম্প,ট্রেডল প্রিন্টিংপ্রেস এর ্উদ্ভবক কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার কাশিয়াখামার গ্রামের নরেন্দ্রনাথ দেব।যা ১৯৭৮ সালে ট্রেডলপাম্প ঢেঁকিকল উদ্ভাবন করে রাষ্ট্রীয় পদক পান তিনি। দেশে কৃষিখাতে যে বিপ্লব তা ঢেঁকিকলের মাধ্যমে এসেছিল।সময়ের প্রয়োজনে যন্ত্র নির্ভরযুগে তার আবিষ্কৃত ঢেঁকিকল বিলুপ্তির পথে।কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন,বর্তমান শতভাগ জমি সেচের আওতায় আসায় ঢেঁকিকলের ব্যবহার উঠে যাচ্ছে।