299 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এক মাস পর যুবক মোর্শেদুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ৪জনের মধ্যে ৩জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আটকরা হলেন, দক্ষিণ দুরাকুটি ময়নাকুড়ি গ্রামের মামুদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৩০), উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম ইসলাম (১৯), একই গ্রামের নুরুজ্জামান ওরফে পেলকু মেম্বরের ছেলে সেলিম মিয়া (২৭) ও উত্তর দুরাকুটি মাষ্টারপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদের ছেলে বাদশা আলমঙ্গীর (৩১)। সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, আসামি ইব্রাহিমের বোন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার মিথ্যা বদনাম রটানো, ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে আসামি সেলিমের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া ও অন্যান্য আসামিদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় ৬জন আসামি একত্রিত হয়ে এ নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটায়।
গাঁজা সেবনের কথা বলে ইব্রাহিম ধাইঝান নদী খননের বালুর স্তূপের পাশে ২৪ আগষ্ট রাতে মোর্শেদুলকে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া গাঁজাসেবি অন্যান্য আসামিরা বেদম মারপিট ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। ওই বালুর স্তূপে গর্ত করে তার মরদেহ ও রক্তমাখা কাপড় পুতে রাখে। পরে আসামিরা নদীতে গোসল করে বাড়িতে চলে যায়।
উল্লেখ্য, উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়া গ্রামের যুবক মোর্শেদুল ২৪ আগষ্ট নিখোঁজ হন। ২৭ আগষ্ট বাড়ির পাশের ধাইঝান নদী খননের বালুরস্তূপ থেকে শিয়াল তার লাশ টেনে বের করে। ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বাদি হয়ে হত্যা মামলা নেয়। পরদিন ময়নাতদন্তের পর তার পরিবার লাশ সনাক্ত করেন।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নূর ইসলাম এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেন।