1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
কিশোরগঞ্জে বিলুপ্ত প্রায় গ্রামীণ কুঁড়েঘর - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু,৪০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চট্টগ্রামে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই শ্যামলীতে আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা, ৩ শিক্ষার্থী আহত ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিজিবি অনুরোধ পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয় পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা

কিশোরগঞ্জে বিলুপ্ত প্রায় গ্রামীণ কুঁড়েঘর

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

 585 বার পঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ছন খড়-কুটার ছাউনি দিয়ে তৈরি কুঁড়েঘর। এক সময় এ অঞ্চলের গ্রামের সাধারণ শ্রেণীর খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের নিশিথে আশ্রয়ের প্রধান ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই কুঁড়েঘর। গ্রামের মানুষের কাছে গরিবের এসিবাড়ি নামে পরিচিত ছিল এই ঘরগুরো। একসময় গ্রামে কুঁড়েঘরের তুলনায় ইট কিংবা টিনের ঘর ছিল খুবই কম। কিন্তু আজ তা কালের আবর্তে সম্পূর্ণ বিপরীত।

আগের গ্রামের সাথে বর্তমান গ্রামের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় না। রোজগার জীবনের মানন্নোয়নে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণবন্ত জীবনের গ্রামীণ ঐতিহ্যের নিদর্শন কুঁড়েঘর। আজ থেকে ২০/২৫-বছর আগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দেখা যেত পরিবেশ বান্ধব ছন, বাঁশ, খড়ের ছাউনিতে চৌচালা কুঁড়েঘর। বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও একটা কুঁড়েঘর নজরে পড়ে না। যদিও বা কালে ভাদ্রে এক-আধটি চোখে পড়ে সেগুলোর অবস্থা খুবই জীর্ণ দশা।তৎকালিন সময় কুঁড়েঘর ছাউনির প্রধান উপকরণ ছিল ছনকশ।

শ্রমজীবী মানুষেরা ছন এবং ধানকাটার পর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে নিপুন হাতে তৈরি করত এই ঘর। এই ঘর তৈরিতে যারা পারদর্শী তাদেরকে স্থানীয় ভাষায় ছাফরবন্ধ বলা হয়। আগে ছন (কাশিয়ার) চাষাবাদ ব্যাপক হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সেই জমি ফসলিতে রুপ নেয়ায় এর চাষাবাদ এখন নেই বললেই চলে। আজ কারিগররাও হারিয়ে গেছে। মানুষের আর্থিক সামর্থ্য বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি গ্রামে গড়ে উঠছে ইট-কাঠ, পাথরের দালান। ফলে অতীত ঐতিহ্যের চিরচেনা কুঁড়েঘরের প্রচলন চোখে পড়েনা। আধুনিক যুগেও কুঁড়েঘর উঁকি দিচ্ছে উপজেলার বাহাগিলী ইউপি‘র উঃ দুরাকুটি নয়ান খাল বৈদ্য পাড়ার আছাদুলের বাড়িতে। এখনো তার উঠোনে ২টি কুঁড়েঘর দেখা গেছে।

তিনি জানান, এ গ্রামে শুধু আমাদের দু‘টি কুঁড়েঘর রয়েছে। সবাই এখন ইট, সুরকি, টিনশেড দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। বাপ-দাদার ঐতিহ্যের পাশাপাশি টিনের ঘর তৈরির সামর্থ্য না থাকায় খড়কুটোর ঘরই মোদের সম্বল। কুঁড়েঘরে বসবাস যেমন শান্তি তেমনি আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্দময়। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এমদাদুল হক জানায়, বর্তমানে ছনের অভাব,খড়,বাঁশ ও শ্রমিকের দাম বেশী হওয়ায় এবং প্রতি বছর কুঁড়েঘর মেরামত করতে হয় তাই গ্রামের মানুষ এখন কষ্ট করে দীর্ঘমেয়াদী পাকা, আধাপাকা টিনের ঘর তুলছে।

আনোরমারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামীণ প্রতিটি কর্মেই ফিরে দেখার আবাস ফিরে পাই। যখন দেখি সেই শৈশবের দিনগুলি সত্যিই আমাদের প্রেরণা যোগায়। বিশেষ করে এই কুঁড়েঘর গরমে যেমন শীতল ছাঁয়া আবার শীত কালেও ঘর থাকে উঞ্চ। চৈত্রের তাপদাহ আর জ্যৈষ্ঠের প্রখর গরমে কুঁড়ে ঘরই ছিল এ অঞ্চলের মানুষের শান্তির স্বর্গ। আধুনিক যুগে চিরায়িত বাংলার, বাঙালীর আজন্ম স্মৃতি চিহৃটির কুঁড়েঘর এখন স্মৃতির পাতায় হারিয়ে যাচ্ছে। হয়ত সেদিনটি খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন কুঁড়েঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্ম রূপকথার গল্পেই এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে।সাথে ছবি আছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park