ত্রিশাল প্রতিনিধি>ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আয়োজনে প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক সমাজ ও মানববিদ্যা সম্মেলন ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারত-মালয়শিয়া ও ইংল্যান্ড থেকে আগত বরেণ্য শিক্ষাবিদ-গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে গতকাল সকাল ১০টায় শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের মতো আজও শুরু হয়ে বিকাল ৫টায় সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনের শুরুতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, “নামকরা বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের সবার সহযোগিতায় একটি গবেষণামনস্ক ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের সকলের প্রয়োজন এমন একটি পরিবেশ যেটি উন্মুক্ত ও ভালোবাসায় ঘেরা।
সেখানে জ্ঞান, বিজ্ঞানের চর্চা ও পড়ালেখা হবে। নানা ধরণের মূল্যবান গবেষণাকর্ম পরিচালিত হবে। ভাষা ও সংস্কৃতি গুরুত্ব পাবে। এজন্য আমরা শিক্ষা, গবেষণার ভিত্তিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছি।”
সম্মেলনের অতিথিদের মধ্যে ছিলেন, ভারতের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. বরুণ কুমার চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, ইউজিসি প্রফেসর ড. ফকরুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ডেভিড ডেনিস, মালয়শিয়ার ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ বিন হামিদ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও নজরুল গবেষক অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞানের ডিন অধ্যাপক ও গবেষক ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন ও গবেষক অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী এবং গবেষক-রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
এই সম্মেলন নিয়ে অতিথিদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেছেন, ‘এই ধরণের সম্মেলনের মাধ্যমে যে জ্ঞানগুলো সৃষ্টি ও বিকশিত হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ ও জীবনে প্রভাব ফেলে।’ তারা অত্যন্ত শৃংখলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আরোও বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বক্ষমতার আরেকটি স্বাক্ষর রাখছে।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. শেখ মেহেদী হাসান জানান, এবারের সম্মেলনে ২৬৪ টি জমা পড়া গবেষণা প্রস্তাবের সারাংশের মধ্যে যাচাই বাছাই করে আমরা প্রায় ৮৩টি সারাংশ নির্বাচিত করেছি। যা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত দুইদিন ব্যাপী প্যারালাল সেশনের মধ্যদিয়ে গবেষকরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।