167 বার পঠিত
সরকটি এ এলাকার লোকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ । প্রতিদিন সহস্রাধিক লোকজন এ রাস্তায় যাতায়াত করে। মাস ছয়েক আগে যাতায়াত করা গেলেও এলাকাটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বলে বলে বাসিন্দাদের ময়লা পানি রাস্তায় জমে থাকে বারো মাস । বৃষ্টি-বর্ষায় এ রাস্তায় ২-৩ ফুট পানি হয়। তখন এলাকার লোকজন ময়লা পানিতে যাতায়াত করে। এ অবস্থায় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ওই রাস্তার সংস্কারকাজ।
রাস্তাটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নরসিংপুর গ্রামের। গ্রামের ছোট পাড়া এলাকায় অন্তত শতাধিক পরিবার বসবাস করে তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটা। আশেপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা দূর্বল বলে অনেকেই তাদের ব্যবহৃত পানি, আবর্জনা ও পয়নিস্কাশন এর দূষিত ময়লা পানি এখানে ফেলে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তাটি তাদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। আশেপাশে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে হাজারো কর্মচারী তাদের সময় বাঁচানোর জন্য এ রাস্তাটা ব্যবহার করে। রাস্তাটির মাধ্যমে ভোলাইল, বেপারি পারা ও পঞ্চবটি থেকে বক্তাবলি বাজারেরের রাস্তায় যাওয়ার মাধ্যম । তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় আশেপাশের বাসিন্দাদের ফেলা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ নিয়ে।
উক্ত এলাকার লোকজন জানান, বাসিন্দা মজিবর, আলী আক্কাস ও নুর ইসলামের উদ্যোগে ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে এক সপ্তাহ ধরে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। রাস্তার এ অবস্থায় গ্রামের শতাধিক পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় গার্মেন্টস শ্রমিকদের, তারা সময় বাচাতে এ এলাকার রাস্তাটি ব্যবহার করে।
এলাকার বাসিন্দা মোঃ মুস্তাফা বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো লোক যাতায়াত করে। এলাকার সব রাস্তা পাকা করা শুধু আমাদের এখানে আবর্জনায় ভরা। আমরা প্রতিটি বাড়ি থেকে ৩-৪ হাজার টাকা দাবি করেছি কেউ দিয়েছে কেউ দিবে না। সেই অর্থায়ন দিয়েই হবে রাস্তার মেরামত কাজ।
এলাকার মাতুব্বর আজহার বেপারি বলেন, এ এলাকার মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তা বর্ণনাতীত। এ কষ্ট দেখেই আমি এগিয়ে এসেছেন। পুরো রাস্তাটি পাকা করলেই দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটবে। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনেক ধরনা দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর শামিম আহমেদ বলেন, শুনেছি ছোট পারার বাসিন্দাদের একটি রাস্তার জন্য খুব দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিছুদিন ধরে ব্যস্ত ছিলাম খুব দ্রুত তাদের রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করছি।
স্থানীয় কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদল বলেন, ‘নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কথা শুনেছি। তবে নতুন বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি ভালোভাবে সংস্কার করব বলে আশা রাখি।’
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘ওই রাস্তাটি এলজিইডির আওতাভুক্ত নয় তবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাই আমরা খোঁজ নিব সম্ভব হলে এ বছরের মধ্যে সংস্কার করা যাবে।