254 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট সেবা ধিরগতির অভিযোগ করে আসছে শিক্ষার্থীরা। দিন যতো যাচ্ছে সমস্যা ততো বাড়ছে। রাত ১ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কিছুটা ইন্টারনেট সেবা থাকলেও তখন প্রয়োজন হয় না শিক্ষার্থীদের। কারণ শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস হয় দিনে। দিনের যেকোন সময়ে প্রয়োজনে হলের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করলে তাকে অবশ্যই বেগ পোহাতে হবে ১০ মিনিটের ভিডিও ঘন্টাখানেক সময় তো লাগবেই।
সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শির্ক্ষাথীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ধিরগতি ইন্টারনেট সেবার এ সমস্যা এখন আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সপ্তাহে একদিন অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নিয়ম করে । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে লোডশেডিং ও ধিরগতির ইন্টারনেট সেবার শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সাদ্দাম হোসেন হলের ইন্টারনেট সেবা খুব ধিরগতির। এতে সংশ্লিষ্ট হলের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কাজ ও পাঠ্য কার্যক্রমসহ ইন্টারনেট সংশ্রিষ্ট কাজে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ধিরগতির ইন্টারনেট সেবার সমাধান চায় সংশ্লিষ্ট হলের শিক্ষার্থীরা।
সাদ্দাম হোসাইন হলের শিক্ষার্থী মিরাজ হাসান বলেন, আমাদের হলে দীর্ঘদিন থেকে ইন্টারনেট সেবার সেবা খুবই খারাপ। তাই মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিভাগের অনলাইনে ক্লাস হয়, ইন্টারনেট সেবার ধিরগতির কারণে তাদের অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয় না।
একই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে ইন্টারনেট সেবা খুবই ধিরগতির। প্রশাসন বারবার ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত করতে বারবার প্রভোস্ট অফিসে গিয়ে বলেছি। তবে আমরা এখনও সমস্যার সমাধান পাই নি। আমরা এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই। কারণ প্রতিনিয়ত অ্যাসাইনমেন্টসহ পড়াশোনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে ওয়াইফাইয়ের প্রয়োজন হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অফিস সূত্রে জানা যায়, হলের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ইন্টারনেট সেবার ব্যপারে বারবার অভিযোগ করে। তবে কর্মকর্তারা আমলে নেননা। আইসিটি সেলের পরিচালক ড. তপন কুমার জদ্দার বলেন, হলের ইন্টারনেট সমস্যার ব্যাপারে আমার জানা ছিল না। বিষয়টা দেখছি দ্রুত সমাধান করা হবে।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, হলের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছে ইন্টারনেট সরবারহ ধিরগতির। আইসিটি সেলকে বলেছি সমাধানের জন্য। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, হলের ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আয়োজনে ব্যস্ত ছিলাম। আমি বিষয়টা দেখছি।