179 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন রক্তিমার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। সেই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে উজানগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও মাতৃকালীন সচেতনতা, ডেঙ্গু সচেতনতা ও রক্তের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত বিশেষ ক্যাম্পেইন। সেখানে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থীর ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং করা হয়। ও শতাধিক নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা হয়।
মানবদেহের জন্য রক্তদান এবং রক্ত গ্রহনের প্রচলন পূর্ব থেকেই। মানুষের মহামূল্যবান জীবন ও দেহ সুরক্ষায় রক্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য তরল উপাদান। যেকোন দুর্ঘটনায় শরীর থেকে রক্ত ঝড়ে গেলে অথবা দেহের অভ্যন্তরে অন্ত্র বা অন্য অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হলে অস্ত্রোপচারের জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়।
মানবজীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদান একটি মহৎ কাজ। স্বেচ্ছায় রক্তদান সব ধরনের জনকল্যালমূলক কাজের শীর্ষে অবস্থান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরে ৩ বার রক্তদান মানুষের শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
কথা হয় সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন রক্তিমার ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ সেটা আমাদের জন্য গৌরবের। আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি এমন একটি মহৎ সংগঠনের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরে।
তিনি আরো বলেন, সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি তার স্বেচ্ছাসেবকেরা আর আমাদের সংগঠনের রক্তযোদ্ধাদের আন্তরিকতা, পরিশ্রম ও স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ আমাকে খুবই অনুপ্রাণিত করে৷এছাড়াও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, রক্তের প্রয়োজনীয়তা, থ্যালাসেমিয়া, গর্ভকালীন সচেতনতা, ডেঙ্গু বিষয়ক বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে আসছে রক্তিমা। এ বছর আমাদের ভলেন্টিয়ারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৬০০+ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করে দিতে সক্ষম হয়েছি। যার পুরোটা অর্জন সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকদের। আমরা আশা করি এভাবেই রক্তিমা মানবসেবায় নিঃস্বার্থ ভাবে নিয়োজিত থাকবে। সবশেষে তিনি বলেন, আমি রক্তিমার ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রক্তিমার উত্তরোত্তর সফলতা কামমা করছি।