131 বার পঠিত
পরিবহন ভোগান্তি যেন লাগাম ছাড়ছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের । কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরে বসবাসরত প্রায় দশ হাজারের মতো শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন এ ভোগান্তি পোহাতে হয়। গাদাগাদি করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কুষ্টিয়ায় বসবাসরত শিক্ষার্থীদের যেন ভোগান্তি অসহনীয় পর্যায়ে। সকাল ৮:০০ ও ১০:০০ বাসে সাদ্দাম বাজার, ডিসিকোর্ট ও জেলখানা মোর থেকে বাসে উঠলে অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের মধ্যবর্তী হওয়াতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা শহরে বসবাস করে। শহরে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র উপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেস্ব পরিবহন ব্যবস্থা।
কুষ্টিয়া শহরে বসবাসরত কিছু শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন বাসে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। একদিকে বাসে সিট ফাকা থাকে না তাই অনেক শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে কেম্পাসে আসতে হয় এবং অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। কুষ্টিয়া শহরে বাসের সংখ্যা আরো বাড়ানোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
পরিবহন প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৪০টি যানবাহন রয়েছে, যেমন- ০৯টি বড় বাস, ০৫টি মিনি বাস, ০৪টি মিনি বাস (এ.সি), ও অন্যান্য যানবাহন। যথাযথ পরিবহন সুবিধার অভাবে পরিবহন প্রশাসন অফিস প্রায় ৩৮টি বাস ভাড়া করে। এ বাসগুলো তিনটি রুটে চলাচল করে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং শৈলকুপায় । পরিবহনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। এই কারণে, বর্তমান প্রশাসন নতুন ১টি (এ.সি) বাস, ০৩টি পাজেরো এবং ০১টি নতুন মাইক্রো কিনা কেনা হয়েছিল। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ভাড়ায় পরিচালিত ৩ বড় বাস পরিবহন সেবায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
পরিবহন প্রশাসনের পরিচালক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে কিছু বাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আছে সেগুলো দ্রুত পরিবর্তন করা হবে। তখন হয়তো শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবে।