105 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্যের উদ্যোগে কেম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালন করে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে জিমনেশিয়ামের সামনে এবং ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন রাস্তার পার্শে বৃক্ষ রোপণ করা হয়।
এসময় কর্মসূচিতে দেশি ও বিদেশী বিভিন্ন ধরণের শোভাবর্ধণকারী গাছ লাগানো হয়। তারমধ্যে, শিউলি, বেলী, কৃষ্ণচূড়া, কাঠগোলাপ, বাগান-বিলাস, পলাশ, কাঠবাদাম, গন্ধরাজ ও জ্যাকারান্ডা অন্যতম।
তারুণ্যের প্রচার সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সকাল সাড়ে ১০ টায় কর্মসূচীটি জিমনেশিয়াম চত্বরে শুরু হয়। এ সময় তারুণ্যের সম্মানিত উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহজাহান মণ্ডল, প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মমতাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন ।
উপদেষ্টামন্ডলীর বক্তব্যে ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, তারুণ্য’র সদস্যরা লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের স্বীয় দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বিভিন্ন প্রশংসনীয় জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে তারুণ্য’র মাহাত্ম্যকে ফুটিয়ে তুলছে। এছাড়াও তারুণ্যের সূচনালগ্নের স্মৃতিচারণমূলক বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং তারুণ্যের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশল অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মমতাজউদ্দিন ওষধি ও ফলজ গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে সদস্যের মাঝে আলোকপাত করেন। তারপর, অতিথিদের নিয়ে একটি বিদেশী প্রজাতির ফুল গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তারুণ্যের সদ্য সাবেক সভাপতি আশিফা ইসরাত জুঁই এবং সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি মুরসালিন আহমেদ সানি সহ তারুণ্যের প্রায় ৭০ সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয় বলেন, ‘আমাদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্দেশ্য শুধু ক্যাম্পাসকে সাজিয়ে তোলা নয়, বরং সদস্যদের মাঝে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতা উপলব্ধি করানো।’
সভাপতির বক্তব্যে মারুফ হোসেন বলেন, ‘গাছ আমাদের পরম বন্ধু যেটি ব্যতীত আমাদের অস্তিত্ব কল্পনা করা কঠিন। শুধু গাছ লাগানোই নয় বরং এগুলো পরিচর্যা করাও আমাদের দায়িত্ব। এছাড়াও, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও সেগুলোর যত্ন নিতে উৎসাহিত করেন।