83 বার পঠিত
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা>আমি আমার স্বামীর কাছে চলে গেলাম। তাকে ছাড়া থাকতে পারছি না। আমার মেয়েকে দেখে রাখবে।’ হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রুপসী খাতুন নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। গতকাল দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। সে উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের খোকনের ছেলে মিকাইলের স্ত্রী।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের মিকাইল ভালোবেসে বিয়ে করে নাটুদাহ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের রফিকুলের মেয়ে রুপসীর সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে একটি কন্যা সন্তান। বিয়ের পর থেকেই মিকাইল ছাতিয়ানতলা গ্রামে বসবাস করে আসছিলো। ছাতিয়ানতলা গ্রাম থেকে খবর আসে মিকাইল বিষপান করেছে। মিকাইলের মৃত্যুর খবরে তার লাশ দেখে পরিবারের সন্দেহে হয়। পরিবারের লোকজন দাবী তোলে তার স্ত্রী তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। মিকাইলের ময়নাতদন্ত শেষে একদিন দাফন সম্পন্ন করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর তিনদিন পর স্ত্রী রুপসী নিজ ঘরে ভোরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। রুপসীর আত্মহত্যার পর পরই এলাকা জুড়ে মিকাইলকে হত্যার করার বিষয়টি জোরালো হয়ে উঠেছে। তাদের দাবী মিকাইলকে হত্যার কারনে নিজে ফেঁসে যাবে এমনটা ভেবে রুপসী নিজেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে বলে ধারণা করছে গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।