আত্মহত্যা আজকাল একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন সকালে পত্রিকা খুললে দুই একটি আত্মহত্যার ঘটনা চোখে পড়বেই। আজকাল আমাদের আশেপাশের অনেক শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক সংকট, পরিবারের অযথা প্রত্যাশা ও রেজাল্টের চাপ সামলাতে না পেরে চিরদিনের মত হারিয়ে যাচ্ছে।আমাদের সমাজ একটি রেজাল্টকে একটি জীবনের থেকে মূল্যবান করে ফেলেছে। যার কারণে একজন শিক্ষার্থী মনে করে একটি ভালো রেজাল্ট করতে না পারা মানে জীবন মূল্যহীন।
আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি – রেজাল্ট না হলে কি জীবন থেমে যায় ?
নাকি সমাজ তাকে ঠেলে দেয় এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ?
একটি পরীক্ষা খারাপ হতে পারে, একটি বছর নষ্ট হতে পারে কিন্তু একটি জীবন হারিয়ে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না।
সবার আগে আমাদের মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। একটি কাগজের মূল্যে জীবন – এই ধারা পরিবর্তন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীকে এই ধারা থেকে বের করে আনতে গেলে সবার আগে তার মা-বাবা এবং পরিবারের সদস্যদের তার সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাউন্সিলিং বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
একটি গ্রেড যুক্ত করা কাগজের মূল্যে জীবন নয়, ব্যর্থতা যে সাফল্যের প্রারম্ভ এই ধারায় একটি সমাজকে গড়ে তুলতে হবে।