38 বার পঠিত
ইউনিয়ন থেকে থানা, জেলা ও মহানগর হয়ে রাজধানীতে কয়েক ধাপে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এবার রাস্তায় মানববন্ধনে দাঁড়াবে দলটি। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে দলটি আজ শনিবার (১১ মার্চ) সারা দেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে এই মানববন্ধন করবে। রাজধানীর দক্ষিণে যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে উত্তরে টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর ব্রিজ পর্যন্ত এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি হিসেবে আজ ঢাকায় এবং জেলা পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ। ঢাকায় দুটি সমাবেশ করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। আর ঢাকার বাইরে যুবলীগ সারা দেশেই জেলা পর্যায়ে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এমন মূহূর্তে রাজপথে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে।
এদিকে বিএনপির মানববন্ধন থেকে আগামী ১৮ মার্চের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে তারা। তবে কী ধরনের কর্মসূচি দেয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, কৃষি উপকরণ ও শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশে এ মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো।
জানা গেছে, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ বেলা ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের উল্টো দিকে ফার্স হোটেলের সামনে, ১২ দলীয় জোট বেলা ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন এলাকায়, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে, গণফোরাম বেলা ১১টায় মতিঝিল অফিস সামনে নটরডেম কলেজ উল্টো দিকে থেকে, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জোট বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং এলডিপি দুপুর ৩টায় কাওরান বাজার এফডিসি সংলগ্ন অফিস সামনে মানববন্ধন করবে।
অন্যদিকে বিএনপি ও মিত্রদের এসব কর্মসূচির বিপরীতে বিশাল শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয়ভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকার দুই প্রান্তে এ সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা ১০ দফা দাবিতে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করব। রাস্তায় দাঁড়াব না। আশা করি, পুলিশ প্রশাসন আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে।’
গাজীপুর মহানগরীর মানববন্ধনে প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘সারা দেশেই আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো। নেতা-কর্মীরাও সরব। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন না হয় এবং নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’