রাজবাড়ী প্রতিনিধি>
ঈদের ছুটি শেষে আজও রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া খুলনা মহাসড়কের ৭ কিলোমিটার অংশে যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়ক ও গোয়ালন্দ মোড়ের কুষ্টিয়ামুখী আঞ্চলিক সড়কে এ চিত্র দেখা যায়। এরমধ্যে যাত্রীবাহী বাস, পচনশীল ও অপচনশীন পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান রয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনা কমেছে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যার পরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসা অনেক যাত্রীবাহী বাস এখনও ফেরির দেখা পায়নি। ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষায় বসে থেকে খাবার, পানি, টয়লেটসহ তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বেশি কষ্টে পড়েছেন নারী, শিশু ও বয়স্করা।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের চালক মো. কামাল বলেন, ‘গতকাল রাত ১টায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এসে পৌঁছেছি। আজ রোববার বেলা ১১টা বেজে গেলেও এখনও ফেরিতে উঠতে পারিনি। ১০ ঘণ্টার বেশি বাসে বসে থেকে যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অনেক যাত্রী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বাস যাত্রী মো. কামরুল মিয়া বলেন, ‘১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাসে বসে আছি। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। খাবার ও পানির অভাবে পড়েছি।’
যশোর থেকে ঢাকাগামী বাস যাত্রী সবুজ মোল্লা বলেন, ‘কোলের শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। শিশুটিকে বাতাস করতে হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, ‘গতকাল রাতে বাস ঘাটে আসলেও প্রায় ১০ ঘণ্টা পরেও ফেরি পায়নি। দৌলতদিয়া ঘাটে আসলেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহন পদ্মা নদী পারাপারে ২১ ফেরি ও ২২ লঞ্চ চলাচল করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া থেকে ৮ হাজার ৩৯০টি যানবাহন ফেরি পার হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার জানান, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এরপরেও ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে আসবে।